কলকাতা: কিং অব রিভার্স সুইং। বলা যায় কি তাঁকে? পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার। তাঁর চেয়ে ভালো রিভার্স সুইং কেউ করাতে পেরেছেন বা পারেন কিংবা পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রয়েছে ৭৮৯টি উইকেট। পাকিস্তানের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের ব্য়ক্তিগত জীবন, কাহিনির মতোই। সাধারণত, দু-হাতে দশটি আঙুল থাকে। অনেকের আবার অতিরিক্ত আঙুলও দেখা যায়। বলিউড তারকা হৃত্বিক রোশনেরই যেমন একটা আঙুল অতিরিক্ত রয়েছে। ওয়াকার ইউনিসের ক্ষেত্রে উল্টো কাহিনি। বিশ্বের তাবড় ব্য়াটারদের ত্রাস ওয়াকার ইউনিসের বাঁ হাতে একটি আঙুলই ছিল না। বিশ্বের সেরা বোলারদের তালিকায় তাঁর নাম উজ্জ্বল। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ওয়াকার ইউনিসের বাঁ হাতে কড়ে আঙুল ছিল না। সেটার নেপথ্য়ে কষ্টকর আবার মজার কাহিনি রয়েছেও বলা যায়। একটা বয়সে সকলেই প্রায় দুরন্ত হয়ে থাকেন। তা থেকেই দুর্ঘটনা। ক্য়ানালে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওয়াকার ইউনিস। এমনটা নিয়মিতই হত। কিন্তু তার মধ্য়েই ঘটে বড় দুর্ঘটনা। একদিন এই ঝাঁপ দেওয়াটাই কাল হল। হাতে গুরুতর চোট লাগে তাঁর। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর ছিল যে, চিকিৎসক পরামর্শ দেন বাঁ হাতের কড়ে আঙুল কাটাতেই হবে। অগত্য়া তাই করান। বাঁ হাতের কড়ে আঙুল কাটানোতে অবশ্য় ক্রিকেটে কোনও প্রভাব পড়তে দেননি।
ওয়াকার ইউনিসের প্রতিভা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। খুব কম ক্রিকেটারই এমন সুযোগ পেয়ে থাকেন। পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে মাত্র আধডজন প্রথম শ্রেনির ম্যাচ খেলেছিলেন ওয়াকার ইউনিস। ক্লাব ক্রিকেটের মাধ্য়মে ওয়াকারের পেশাদার ক্রিকেটের সূচনা হয়েছিলে ১৯৮৭-৮৮ মরসুমে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক ইমরান খানের নজরে পড়েন ওয়াকার। তিনিই ওয়াকারকে জাতীয় দলে সুযোগ দেন। মাত্র ৬টি প্রথম শ্রেনির ম্যাচ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক ওয়াকারের। ইচ্ছেশক্তি এবং চেষ্টা থাকলে যে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়, ওয়াকার সেটা করে দেখিয়েছিলেন। রিভার্স সুইংকে তিনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যান। অনেক বোলারই সুযোগ পেলে তাঁর কাছে রিভার্স সুইং নিয়ে পরামর্শ নেন।