কলকাতা নাইট রাইডার্সে পেস বোলিং অলরাউন্ডার কারা রয়েছেন? একটা নামই মনে পড়বে, আন্দ্রে রাসেল। কলকাতা নাইট রাইডার্সে দীর্ঘ সময় ধরে খেলছেন। রাসেল কবে পারফর্ম করবেন, এর নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেন না। নিজের দিনে একাই ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সেটা বোলিংয়ে হোক কিংবা ব্যাটিংয়ে। সমস্যাটা হল, সেই দিনটা খুব কমই আসে। নয়তো কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্যাবিনেটে আরও ট্রফি জমা হত। কেকেআর-কে ভরসা দিতে কি আর এক পেস বোলিং অলরাউন্ডার প্রস্তুত? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত। তাঁর জনপ্রিয়তা রঞ্জি ট্রফির সৌজন্যেই। যে টিমেরই দায়িত্ব নিয়েছেন, সাফল্য দিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশ প্রথম এবং একমাত্র রঞ্জি ট্রফি জিতেছে চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের কোচিংয়েই। এ বারও চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের কোচিংয়ে ট্রফির স্বপ্ন দেখছে মধ্যপ্রদেশ। সেমিফাইনালে বিদর্ভর বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে ভালো জায়গায় রয়েছে তারা। প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে মাত্র ১৭০ রানেই অলআউট করেছে বিদর্ভ।
রঞ্জি ট্রফি এবং কেকেআর। এ বার একই কোচের তত্ত্বাবধানে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাঁকে মিডিয়াম পেসার, অলরাউন্ডার বলাই যায়। আইপিএলে অবশ্য এই ভূমিকায় খুব বেশি দেখা যায়নি তাঁকে। নিয়মিত বোলিং কাজে লাগানো হয়নি। গত মরসুমে এক ম্যাচেও বোলিং করানো হয়নি। আসন্ন আইপিএলে কি নিয়মিত বোলিংয়ে দেখা যাবে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে? ইঙ্গিত তেমনই। কোচ চন্দ্রকান্ত সেভাবেই যেন তৈরি করছেন। সেমিফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে ১১ ওভার বোলিং করানো হয়েছে তাঁকে। ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেটও নিয়েছেন ভেঙ্কটেশ।
লাল-বলে ভালো পারফর্ম করলে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। গত দু-ম্যাচে তাঁকে বোলিং করানো হয়নি। গ্রুপ পর্বে হিমাচলের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। এ বার সেমিফাইনালে ২ উইকেট। কেকেআর ব্যাটারের এ বার দায়িত্ব বাড়তে চলেছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।