দীর্ঘ এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কষ্টার্জিত জয়। দুর্দান্ত জয়। নানা ভাবেই বর্ণনা করা যেতে পারে কেকেআরের এই জয়কে। ম্যাচের একটা সময় অবধি ধুঁকছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। একটা চালেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। ইনিংসের ৪.২ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুধু যে পিচই এর জন্য দায়ী তা নয়। কেকেআর ব্য়াটারদের শট সিলেকশন নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। প্রাক্তন অলরাউন্ডার অবশ্য বলছেন, কেকেআরের জেতাই উচিত ছিল না!
দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর কেকেআর শিবিরে ভরসা ছিলেন রিঙ্কু সিং। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তাঁর। সেই মন খারাপ রয়েইছে। এ মরসুমে ব্যাটিংয়ে তেমন সুযোগ পাচ্ছিলেন না রিঙ্কু। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সময় ছিল সেট হয়ে দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলার। যদিও কাজে লাগাতে পারেননি রিঙ্কু। ৮ বলে ৯ রানেই ফেরেন। ৬.১ ওভারের মধ্যেই কেকেআরের পাঁচ ব্যাটার প্যাভিলিয়নে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নামাতে বাধ্য হয় কেকেআর। অবশেষে সুযোগ আসে মণীশ পান্ডের।
ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মণীশ পান্ডের ৮৩ রানের পার্টনারশিপ এবং বোলারদের অনবদ্য পারফরম্যান্সের সৌজন্যেই জয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। রাসেল, নারিন, বরুণ চক্রবর্তীরা দুটি করে উইকেট নেন। সব সমালোচনার জবাব দেন মিচেল স্টার্ক। নতুন বলে যেমন উইকেট নিয়েছেন, তেমনই স্লগ ওভারে। ৪ উইকেটে কেকেআরের জয়ের অন্যতম নায়ক স্টার্ক। শেষ অবধি ২৪ রানে জয় নাইটদের।
ম্যাচ শেষে প্রাক্তন অজি অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন বলেন, ‘যে পরিস্থিতিতে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল কেকেআর, সেখান থেকে জেতার কোনও অধিকারই ছিল না। এই জয়ই প্রমাণ করে, কলকাতা কতটা লড়াই করেছে বা করতে পারে। কিছু জিনিস যেন নিজে থেকেও হয়েছে। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে হোক বা বোলিং পরিবর্তন, কিছু সিদ্ধান্ত দুর্দান্ত ভাবে কাজে লেগেছে। কিছু ক্ষেত্রে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কেকেআর।’
ওয়াংখেড়ের জয় যে কেকেআরকে আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস জোগাবে এমনটাই মনে করেন শেন ওয়াটসন। জিও সিনেমায় আরও যোগ করেন, ‘এই জয় কেকেআরকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে। নিজেদের সেরাটা না দিতে পারলেও কঠিন পরিস্থিতি থেকে যে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়, কেকেআর যেন সেটাই করে দেখিয়েছে।’