কলকাতা: আতসকাঁচের তলায় সুনীল নারিনের পারফরম্যান্স। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) দু’বার আইপিএল (IPL) জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ক্যারিবিয়ান স্পিনারের। এ বার কি তাহলে মিস্ট্রি স্পিনারকে ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে? নারিনপ্রীতি ছেড়ে কি সামনের দিকে তাকানো উচিত কেকেআরের? পারফরম্যান্স তো সেই কথাই বলছে। শেষ কয়েক বছর ধরেই একেবারে ফর্মের ধারে কাছে নেই সুনীল নারিন (Sunil Narine)। ক্যারিবিয়ান স্পিনারকে কার্যত বয়ে বেড়াচ্ছে কেকেআর। ৬ কোটির ফ্লপ শো কলকাতা নাইট রাইডার্সে। এ বছর আইপিএল নিলামের আগেই রাসেল, নারিনদের রিটেন করে কেকেআর। তখনই নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বারের আইপিএলে এখনও স্বমহিমায় দেখা যায়নি নারিনকে। তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তনীরাও। বলা ভালো এগারো জনের দলেও নারিনকে দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় বিভাগেই এর আগে কেকেআরকে ভরসা জুগিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তোলার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও মূল্যবান রান করেছেন। তবে এখন হয়তো তাঁর সময় ‘ফুরিয়ে’ এসেছে। বোলিংয়ে চরম ব্যর্থ। অধিকাংশ ম্যাচেই তাঁর ঝুলি শূন্য থাকছে। ব্যাট হাতেও দেখাতে পারছেন না বিক্রম। দলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হলেও, তাঁকে খেলিয়ে চলেছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই ফলই হাতে নাতে পাচ্ছে কেকেআর। নারিন, রাসেলদের খেলিয়ে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। আইপিএলের একদা ‘সারপ্রাইজ প্যাকেজ’ এখন অতীত।
সোনালী সময় পেরিয়ে এসেছেন সুনীল নারিন। তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়েও একসময় বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল। অ্যাকশন শুধরে স্বমহিমায় ফিরেওছিলেন। তবে আগের মতো সেই ধারাল নারিনকে আর দেখা যায় না। বিপক্ষ দলের ক্রিকেটাররা সহজেই নারিনের ডেলিভারি এখন পড়ে নিতে পারেন। চলতি আইপিএলে হতাশ করেই চলেছেন ক্যারিবিয়ান স্পিনার। ৬ কোটি টাকা খরচ করে তাঁকে দলে রেখে দিলেও, পারফরমেন্সের খতিয়ান কার্যত শূন্য।
চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৭ ইনিংসে ১৩ রান করেছেন নারিন। ৯ ম্যাচে বল হাতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। বোলিং গড় ৪০.২৮। ইকোনমি রেট ৮.৮১। পারফরমেন্সের নিরিখে নারিন মোটেই ছাপ ফেলতে পারছেন না। গত বছরও ১৪ ম্যাচে নারিনের ঝুলিতে ছিল মাত্র ৯ উইকেট। বোলিং গড় ছিল ৩৪.৬৫। ইকোনমি রেট ছিল ৫.৫৭। শেষ কয়েক বছরে ক্যারিবিয়ান স্পিনার হতাশ করেই চলেছেন। নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের ঘুম যত তাড়াতাড়ি ভাঙবে, ততই মঙ্গল।