করাচি: আইপিএলে (IPL) ভালো পারফর্ম করে একটা সময় টিম ইন্ডিয়ায় খেলার দরজা খুলে গিয়েছিল জসপ্রীত বুমরা, সূর্যকুমার যাদবের মতো ক্রিকেটারদের কাছে। ঠিক একইভাবে জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেটার উমরান মালিক এবং অর্শদীপ সিংদের মতো তরুণ প্রতিভাদের জাতীয় দলে উঠে আসা আইপিএল থেকেই। সেই ধারাই এ বার দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটেও। পিএসএলে (PSL) নজরকাড়া পারফর্ম করে পাকিস্তানের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন এক তরুণ তুর্কি। তিনি হলেন জমান খান। একটা সময় দু-বেলা দু’মুঠো খাবারই জুটত না জমানের। পাকিস্তানের পার্বত্য অঞ্চল ওয়াজিরিস্তান থেকে উঠে আসা জমান খানের (Zaman Khan)। চরম দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে পাক দলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ২১ বছরের এই তারকাকে পাকিস্তানের মালিঙ্গা বলা হচ্ছে। জমানের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প চোখে জল আনার মতো। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
মাটির ঘরে একটা সময় দিন কাটাতেন জমান। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জুটত না। পেটের জ্বালা মেটাতে ক্ষেতে কাজও করেছেন তিনি। কিন্তু ক্রিকেট ছিল তাঁর বরাবরের ভালোবাসা। অতীতে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন জমান। সেখানেই তিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদির নজরে পড়েন। এরপর জমানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন আফ্রিদি। তারপরই তাঁকে কিনে নেয় লাহোর কালান্দার্স। সেই জমানই চলতি বছরে পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলেছেন। শুধু তাই নয়, ফাইনালে মুলতান সুলতানসের বিরুদ্ধে তিনিই শেষ ওভারে বল করেছিলেন। জয়ের জন্য মুলতানসের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। সেই সময় ক্রিজে ছিসেব আব্বাস আফ্রিদি ও খুশদিল শাহ। শেষ ওভারে ১১ রান দিয়ে ১টি উইকেট তুলে নেন জমান। আর মুলতানসকে হারিয়ে এ বছরের পিএসএল চ্যাম্পিয়ন হয় লাহোর। পিএসএলে দারুণ পারফর্ম করার দরুণ পুরস্কার হিসেবে জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় জমানের সামনে।
চলতি বছরের মার্চে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে জমানের। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জেতে আফগানিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের হয়ে নজর কেড়েছেন জমান। আফগানদের বিরুদ্ধে ভালো খেলার দরুণ দেশের মাটিতে হতে চলা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে জায়গা করে নিয়েছেন জমান।