দীপঙ্কর ঘোষাল : আরও একটা হার। এ বারের আইপিএলে ৯টি ম্য়াচ খেলে আধডজন হারে খাদের কিনারায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। এখান থেকে প্লে-অফ কার্যত অসম্ভব। তার অন্য়তম কারণ নিঃসন্দেহে কেকেআরের ধারাবাহিকতার অভাব। টানা চার হারের পর গত ম্য়াচে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরকে হারিয়েছিল কেকেআর। বিরাটদের ঘরের মাঠেও জিতে এ মরসুমে ২-০ করেছিল নাইটরা। কিন্তু ব্য়াটিংয়ে সেই ধারাবাহিকতা পাওয়া গেল না। রহমানুল্লা গুরবাজ বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন। আন্দ্রে রাসেল শেষ দিকে বিধ্বংসী ইনিংস। মাঝে হতাশার পারফরম্য়ান্স। প্রশ্ন উঠছে নীতীশ রানার নেতৃত্ব নিয়েও। তিনি ঠিক কী পরিকল্পনায় দল সাজাচ্ছেন, বোঝা কঠিন। শার্দূল ঠাকুরকে খেলানো হল। হঠাৎই তাঁকে তিন নম্বরে ব্য়াটিংয়ে পাঠানো হল। যদিও ৪ বলে রানের খাতা না খুলেই ফিরলেন শার্দূল। কিন্তু এক ওভারও বোলিং করলেন না। তাহলে তাঁকে কেনই বা খেলানো হল! আরও একটা হারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন কেকেআরের কিপার-ব্য়াটার রহমানুল্লা গুরবাজ। কী বলছেন তিনি? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এই ম্য়াচে রশিদ খানের বিরুদ্ধে অনবদ্য ব্য়াটিং করেছেন গুরবাজ। যদিও কেকেআরের বাকি ব্য়াটাররা নুর আহমেদ, জশ লিটলকে সামলাতে ব্য়র্থ। প্রথমে ব্য়াট করে বোর্ডে উঠল মাত্র ১৭৯ রান। ইডেনে ২০০ রান তুলতে না পারলে যে জেতা চাপ, সেটা পরিষ্কার করে দিলেন গুরবাজও। তিনি কী ভাবে এত সহজে রশিদকে সামলালেন! গুরবাজ বলছেন, ‘রশিদকে সামলানো মোটেই সহজ ছিল না। আমি লুজ বলের অপেক্ষা করেছি। আর নুর আহমেদ ও জশ লিটল দুর্দান্ত বোলিং করেছে। আমরা অন্তত ২০ রান কম করেছি। আমি আরও কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকলে হয়তো নুরকে চাপে ফেলতে পারতাম।’
কেকেআরের হারের কারণ কী? গুরবাজও না হেসে পারলেন না। তাঁর সহজ স্বাকারোক্তি, ‘ওরা ভালো খেলেছে, তাই জিতেছে।’ শার্দূলকে খেলানো হল কিন্তু বোলিং করলেন না। এ বিষয়ে খোলসা গুরবাজের জবাব, ‘এটা নিয়ে কোচ এবং অধিনায়ক ভালো বলতে পারবে। ওদের কী পরিকল্পনা ছিল। কেন তাঁকে তিনে পাঠানো হল, সেটা নিয়ে বলার মতো জায়গায় আমি নেই। আর শার্দূল কেন বোলিং করল না, হতে পারে বোলিং করার মতো ফিট নয় শার্দূল! সে কারণেই হয়তো তাঁকে বোলিংয়ের ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।’