দীপঙ্কর ঘোষাল : বিজয় শঙ্কর। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে তাঁকে নিয়ে কম বিদ্রুপ হয়নি। এ বছর ঘরের মাঠে আরও একটা ওডিআই বিশ্বকাপ। আইপিএলে বিজয় শঙ্করের ফর্ম আবারও তাঁকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ব্যাটিং অর্ডারে নম্বর ফোর নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিল ইন্ডিয়ান টিম। অনেককেই চেষ্টা করা হয়। সাফল্য আসেনি। স্ট্যান্ড বাই লিস্টে ছিলেন অম্বতি রায়ডু। যদিও শেষ অবধি তাঁকে নেওয়া হয়নি। বিজয় শঙ্করকে দলে নেওয়ায় নানা মন্তব্যও করেছিলেন রায়ডু। বিজয় শঙ্করকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের যুক্তি ছিল, বিজয় শঙ্কর থ্রি-ডাইমেনশনাল ক্রিকেটার। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, প্রকৃত অলরাউন্ডার। যদিও তাঁর সিলেকশন খুব একটা লাভজনক হয়নি দলের জন্য। হার্দিকের নেতৃত্বে গুজরাট টাইটান্সে অনবদ্য পারফর্ম করছেন বিজয় শঙ্কর। হার্দিক এবং আগামী বিশ্বকাপ, নানা বিষয়েই কথা বললেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ উঠতেই বিজয় শঙ্করের মস্তিষ্কেও সম্ভবত ঘোরাফেরা করছিল, ২০১৯ সালের ইংল্য়ান্ডের কথা। আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে কী ভাবছেন, প্রশ্নে নিজেও হেসে ফেললেন। বলছেন, ‘বিশ্বকাপের এখনও অনেক সময় বাকি। এখনও এত কিছু ভাবছি না। কোনওরকম প্রত্যাশা নেই। আমি শুধু ভালো পারফর্ম করে যেতে চাই।’ এ বারের আইপিএলে তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের রহস্য কী? কেকেআরের বিরুদ্ধে টাইটান্সের জয়ের অন্যতম নায়ক বলছেন, ‘চোটের জন্য দীর্ঘ সময় ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। আইপিএলের আগে ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতিও নিয়েছি। গুজরাট টিম ম্যানেজমেন্ট, সাপোর্ট স্টাফদের এর জন্য় বাড়তি কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
গত আইপিএলে অভিষেক হয় গুজরাট টাইটান্সের। প্রথম বারই চ্য়াম্পিয়ন হয় হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন টাইটান্স। অনেক তরুণ প্লেয়ারই হার্দিকের নেতৃত্বে অনবদ্য পারফর্ম করছেন। তেমনই সিনিয়র ক্রিকেটাররাও। বেশ কয়েকজনের নেতৃত্বেই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিজয় শঙ্করের। হার্দিকের নেতৃত্বের বিশেষত্ব কী? টাইটান্সের এই ক্রিকেটার বলছেন, ‘কারও সঙ্গে ওর তুলনা করা কঠিন বিষয়। এটুকু বলতে পারি, হার্দিক যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরনোর রাস্তা খুঁজে নেয়। প্রকৃত নেতার মতোই দায়িত্ব নেয়। আমি টিম ম্যানেজমেন্টের কথা বারবার বলছি, তার মধ্যে কিন্তু হার্দিকও রয়েছে।’