চেন্নাই: কয়েক বছর আগেও তিনি ছিলেন বিরাট কোহলির প্রধান অস্ত্র। উত্থানটা হয়েছিল উল্কার গতিতে। ভারতীয় দলের বোলিং বিভাগে কুলদীপই (Kuldeep Yadav) হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম প্রধান অস্ত্র। চায়নাম্যানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছিলেন বিপক্ষের ব্যাটসম্যানেরা। নাইট রাইডার্সেও (KKR) ক্লিক করত ‘কুলদীপ ফ্যাক্টর’। বাঁ-হাতি লেগস্পিনারের ঘূর্ণি যেন আচমকাই নির্বিষ হয়ে পড়েছে। গত আইপিএলে সাফল্য পাননি। দীর্ঘদিন বাদে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে বেন স্টোকস আর জনি বেয়ারস্টো কার্যত ছেলেখেলা করেছিলেন কুলদীপকে নিয়ে। তৃতীয় ম্যাচে চায়নাম্যানে আর আস্থা রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই ম্যাচের পর থেকেই কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav) যেন টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আমেরিকার ক্রিকেট অনুষ্ঠানে অতিথি দ্রাবিড়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) সুযোগ পেতে হলে এই আইপিএলই (IPL) অ্যাসিড টেস্ট কুলদীপের (Kuldeep Yadav)। কেকেআরের (KKR) জার্সিতে নিজেকে প্রমাণের পালা। ইংল্যান্ড সিরিজ শেষের পর সরাসরি আইপিএলে যোগ দেননি। কানপুরে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন কুলদীপ। পরিবারের সঙ্গে চারদিন কাটিয়েছেন। ভুলভ্রান্তি শোধরাতে ছোটবেলার কোচ কপিল পান্ডের শরণাপন্ন হন কুলদীপ। সেই কোচের তত্ত্বাবধানে কানপুরের নেটে অনুশীলনও করেন তিনি।
ইংল্যান্ড সিরিজের ব্যর্থতা নিয়েই কোচের সঙ্গে আলোচনা করেন। নির্দিষ্ট জায়গায় বল রাখতে বিশেষ অনুশীলনও করেন কুলদীপ। তবে গত ২ বছর টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে থাকলেও এগারো জনের দলে সে ভাবে সুযোগ পাননি। বেঞ্চেই বসেই থাকতে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে কুলদীপ বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে সবসময় নিজেকে ম্যাচের জন্য তৈরি রাখি। কিন্তু পরিস্থিতি সবসময় সঙ্গ দেয়না। টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করে কোন ম্যাচে কি রকম দল হবে। যেটা আমার হাতে নেই, সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। তাই এ ব্যাপারে আমি বিশেষ মাথা ঘামাই না।’
এরই সঙ্গে কুলদীপ বলেন, ‘সবসময় দলের জন্য ভাবতে হয়। আমি যদি দলের জন্য কিছু করতে পারি, তাহলে সুযোগ পেয়েই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে অন্য কেউ যদি আমার থেকে ভালো পারফর্ম করে সেটা দলের জন্য ভালো। আমি আত্মবিশ্বাসী, ফের নিজের ফর্মে ফিরব। সুযোগ না পেলেও কখনও অবসাদে ভুগি না। পারফর্ম করলে অবশ্যই খুশি হই। না করতে পারলে ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করি। খারাপ খেলাটা ম্যাচেরই অঙ্গ।’
কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিন বিভাগ আরও শক্তিশালী হয়েছে। তার কারণ হরভজন সিংয়ের সংযোজন। আইপিএলে খেলার সুবাদে ২ মাস হরভজনকে কাছ থেকে পাবেন। ভাজ্জির কাছ থেকে স্পিন মন্ত্রও শিখতে চান কুলদীপ যাদব।