Akash Deep: কেরিয়ারের প্রথম ফাইফার, লক্ষ্মীর কোন পরামর্শে সফল আকাশ দীপ?
India Vs England 2nd Test: ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। কিন্তু নিয়মিত জায়গা করে নিতে পারেননি। এজবাস্টনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর আকাশ দীপ ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন।

বাংলা ক্রিকেটে আকাশ দীপের নাম অজানা নয়। তেমনই ভারতীয় ক্রিকেটেও। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা প্রথম শ্রেনির ম্যাচে যেভাবে পারফর্ম করে আসছিলেন, টেস্টে তার ঝলক সেভাবে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোনও একটা স্পেল হয়তো দুর্দান্ত করেছেন, আবার কখনও হতাশা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিজ্ঞতার অভাবও অন্যতম কারণ ছিল। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। কিন্তু নিয়মিত জায়গা করে নিতে পারেননি। এজবাস্টনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর আকাশ দীপ ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন।
আকাশ দীপের বোলিংয়ে অনেকটা মহম্মদ সামির ছাপ রয়েছে। তবে সামির মতো সুইং করানোয় দক্ষ নন। তাঁর মূল অস্ত্র অ্যাঙ্গেল তৈরি করে বল ভেতরে আনা। উইকেটে লাগাতার আক্রমণ করলে ব্যাটার খেলতে বাধ্য। আর মাঝে মধ্যে অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে কিংবা শর্ট পিচ ডেলিভারি। এজবাস্টন টেস্টে উইকেটে লাগাতার আক্রমণে সাফল্য পেয়েছেন বেশি। প্রথম ইনিংসে চার, দ্বিতীয় ইনিংসে ফাইফার। সব মিলিয়ে ম্যাচে দশ উইকেট। এরপরই অতীতের কাহিনি তুলে ধরেন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
বাংলার কিংবদন্তি ক্রিকেটার তথা সিনিয়র দলের কোচ আকাশ দীপ সম্পর্কে বলেন, আকাশ দীপকে মূলত অফস্টাম্প এবং উইকেট অ্যাটাক করেই বোলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্ণীর এই পরামর্শ যে কাজে লেগেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জসপ্রীত বুমরার পরিবর্তে এজবাস্টনে খেলানো হয়েছিল তাঁকে। সব মিলিয়ে ১০ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের নায়ক হয়ে উঠেছেন বাংলার পেসার।
