এ বারের আইপিএলে কি আর দেখা যাবে না রাজধানী এক্সপ্রেসকে? ফিরলেও কতদিন লাগতে পারে! এই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। আইপিএলের প্রতি মরসুমেই নতুন তারার উত্থান হয়। নিঃসন্দেহে এ বারের আইপিএলের প্রাপ্তি মায়াঙ্ক যাদব। লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই পেসার চোখ ধাঁধানো বোলিং করেছেন। হার দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ঘরের মাঠে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় মায়াঙ্কের। এরপর থেকেই চাকা ঘুরে গিয়েছে লখনউয়ের। তবে চিন্তা এখন মায়াঙ্কই। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে আইপিএল অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। কেরিয়ারে প্রথম আইপিএল ম্যাচে আলোচনা শুরু হয়ে যায় তাঁর গতি নিয়ে। ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টা স্পিড তুলেছিলেন। সঙ্গে অনবদ্য নিয়ন্ত্রণ। বোলিং অ্যাকশনও দুর্দান্ত। এর পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট। টানা দু-ম্যাচে সেরার পুরস্কার জেতেন মায়াঙ্ক। আরসিবির বিরুদ্ধে ১৫৬.৭ কিমি/ঘণ্টা গতি তুলেছিলেন। রবিবার টাইটান্সের বিরুদ্ধে শুরু অস্বস্তি।
টাইটান্সের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তেই বোলিংয়ে আনা হয় মায়াঙ্ককে। যদিও ১৪১ কিমি/ঘণ্টার বেশি স্পিড তুলতে পারেননি। এক ওভার বল করেই মাঠ ছাড়েন মায়াঙ্ক। তখনই একটা অশনি সংকেত। ম্যাচ শেষে সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে দেখা যায়। দলের সিনিয়র সদস্য ক্রুনাল পান্ডিয়া ম্যাচ শেষে জানান, মায়াঙ্কের চোট গুরুতর নয়। তাঁকে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী দেখায়নি। মাত্র ১ ওভার বল করার কারণেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ঝুঁকি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত!
কিছুক্ষণ আগেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের CEO বিনোদ বিস্ত এক বিবৃতিতে জানান-‘মায়াঙ্কের তলপেটে সমস্যা হচ্ছিল। সে কারণেই ঝুঁকি না নিতে ওর ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করা হবে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই মাঠে ফিরবে।’ এতেও খুব একটা আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। মায়াঙ্কের চোট নতুন নয়। লখনউ টিমে গত দু-মরসুমও ছিলেন। গত মরসুমেই খেলার কথা ছিল। চোটের কারণেই খেলতে পারেননি। এ বারও কবে মাঠে ফিরতে পারবেন মায়াঙ্ক, এই নিশ্চয়তা নেই।