নয়াদিল্লি: একটা টিম কেন চূড়ান্ত সাফল্য পায়? ভারসাম্য, পরিকল্পনা, ম্যাচ উইনার— এই তিনটে জিনিসের মিশেল যদি ঠিকঠাক থাকে, তা হলে সাফল্য আসে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ডুব দিলে এমনই উদাহরণ পর পর উঠে আসবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে ভারত, পাকিস্তান— সব টিমেরই সাফল্যের গভীরে লুকিয়ে ছিল এই তিনটে বিষয়ই। একটা টিমের যদি ভারসাম্য ঠিকঠাক থাকে, বিপক্ষের জন্য যথাযত পরিকল্পনা তৈরি রাখা যায়, ম্যাচ উইনাররা কঠিন সময়ে পারফর্ম করেন, তা হলে জয়ের দরজা খুলে ফেলা যায় সহজে। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের ভারতের বিশ্বকাপ (World Cup 2023) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে ছিল এই কারণগুলোই। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) ভারতের ক্ষেত্রেও হয়েছিল তাই। এর বাইরেও কিছু দরকার পড়ে? সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar) মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার তুলে ধরলেন বিশেষ একটি দিক। কী বললেন তিনি, TV9 Bangla Sportsএর এই প্রতিবেদনে পড়ে নিন।
সানির কথা ধরলে, সব কিছুর পরেও একটা টিমের সাফল্য পেতে হলে লাগে চ্যাম্পিয়ন্স লাক। কঠিন কোনও একটা ম্যাচে যদি কপাল সঙ্গ দেয়, তা হলে ছোটখাটো ভুল অনেক সময় চাপা পড়ে যায়। আর সঙ্গ না দিলে সেই ছোটখাটো ভুলই বড় হয়ে ওঠে। গাভাসকর বলছেন, ‘সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে বলতে পারি, ভাগ্য একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বিশেষ করে একটা বিশেষ দিনের জন্য।’
সেই সঙ্গে গাভাসকর জোর দিচ্ছেন টিমের অলরাউন্ড এবিলিটির উপর। তাঁর কথায়, ‘১৯৮৩ সাল, ১৯৮৫ সাল ও ২০১১ সালের ভারতীয় টিমের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ওই টিমগুলোয় সেরা অলরাউন্ডাররা ছিল। সেরা ব্যাটসম্যান ছিল টিমে, যারা চাইলে যে কোনও কোনও ৭-৮-৯ ওভার বল করে দিতে পারে। আর বোলাররা লোয়ার অর্ডারে সহজে ব্যাট করতে পারত। ওই তিনটে টিমের ক্ষেত্রে এটা একটা বিরাট পজিটিভ ব্যাপার ছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বকাপজয়ী টিমের দিকে তাকিয়ে দেখুন, সুরেশ রায়না, যুবরাজ সিং, সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেওয়াগদের মতো ব্যাটাররা টিমে ছিল, যারা চমৎকার বলও করত।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড টিমের সাফল্যের পিছনেও কোয়ালিটি অলরাউন্ডারই অন্যতম কারণ, তাও বলছেন সানি। ‘ইংল্যান্ড টিম গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। ওদের অলরাউন্ডারদের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ওরাই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল টিমের জয়ের ক্ষেত্রে।’