Ranji Trophy: অতীত নয়, সামনের দিকেই তাকাচ্ছেন মনোজরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Feb 15, 2023 | 7:37 PM

Ranji Trophy Final: এ দিকে অনুশীলনের পর বাংলা দলকে তাতিয়ে গেলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি আর কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে আলাদা করে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন। ইডেন ছাড়ার সময় অরূপ বিশ্বাস বললেন...

Ranji Trophy: অতীত নয়, সামনের দিকেই তাকাচ্ছেন মনোজরা
ইডেনে বাংলা কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছবি : রাহুল সাধুখাঁ

Follow Us

 

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

‘৩৩ বছর আগের সোনালি বিকেল ফিরিয়ে দাও।’ বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এখন একটাই কথা। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার রঞ্জি জয়ের মুহূর্ত শুধু ছবিতেই ফ্রেমবন্দি। ১৯৮৯-৯০ মরসুমে বাংলা শেষ রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল, সেই সময় অনুষ্টুপ মজুমদারের বয়স ৫, মনোজ তিওয়ারির বয়স ছিল ৪। বাকি ক্রিকেটারদের তখন জন্মই হয়নি। তাই বাংলার সেই রঞ্জি জয়ের কাহিনি শুধু শুনেই বড় হয়েছেন এখনকার ক্রিকেটাররা। গত বার রঞ্জির সেমিফাইনালে থামতে হয়েছিল বাংলাকে। তার আগের বার রাজকোটে সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে খেতাব জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল অনুষ্টুপদের। সেই জ্বালা এখনও দগদগে। অনুশীলনের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসেও বাংলার অধিনায়ক বলে গেলেন সেই স্মৃতি এখনও তাঁদের তাড়া করে বেড়ায়। তবে সেই অতীতেই আটকে থাকতে চান না তাঁরা। ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ বাংলা শিবির জুড়ে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি মরসুম শুরুর আগে বলেছিলেন, এ বারের রঞ্জি খেলেই প্যাড গ্লাভস তুলে রাখবেন। তবে মন্ত্রী মনোজের নেতৃত্বে মাঠেও বাংলা দল অশ্বমেধের ঘোড়া। যদিও ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় আপাতত দাড়ি টেনেছেন বঙ্গ অধিনায়ক। তাঁর লক্ষ্য বৃহস্পতিবারের ফাইনাল। ৩৩ বছর আগের ইতিহাস প্রসঙ্গে বাংলার অধিনায়ক বললেন, ‘ওই সময়ের কথা ভাবি না। অবশ্যই বাংলা সে বার ইতিহাস গড়েছিল। তবে সেটা এখন অতীত হয়ে গিয়েছে। সেই দলের সঙ্গে বর্তমান ক্রিকেটারদের তুলনাতেও যেতে চাই না। শেষ ম্যাচে কী হয়েছে, তা নিয়েও ভাবতে চাই না আমি। নির্দিষ্ট করে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। ব্যাটিংয়ে কী ভাবে উন্নতি করা যায়, তা দেখছি। এর বাইরে আমরা কেউ ৩৩ বছর আগের ইতিহাস নিয়ে কোনও আলোচনা করছি না। ওরা কী ভাবে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তা নিয়ে এখন ভেবে কাজ নেই। বরং বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইরের কোনও বিষয় দলের অন্দরে প্রবেশ করতে দেব না।’

এ দিকে বাংলা শিবিরকে তাতাতে অভিনব পরিকল্পনা করে রেখেছে সিএবি। বাংলা দলের ড্রেসিংরুমে ১৯৮৯-৯০ রঞ্জিজয়ী দলের ক্রিকেটারদের ছবি রাখার ভাবনা বাংলার ক্রিকেট প্রশাসকদের। সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের চিন্তা ভাবনা রয়েছে। মনোজ, লক্ষ্মীর সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তবে ক্রিকেটারদের আলাদা করে বলার কিছু নেই। প্রত্যেকে দারুণ পারফর্ম করছে।’ সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সে বারের রঞ্জিজয়ী দলে ছিলেন। তাঁর সভাপতিত্বে ফের ভারতসেরা হওয়ার সামনে বাংলা দল।

এ দিকে অনুশীলনের পর বাংলা দলকে তাতিয়ে গেলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি আর কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে আলাদা করে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন। ইডেন ছাড়ার সময় অরূপ বিশ্বাস বললেন, ‘বাংলা রঞ্জি জিততে পারলে ইতিহাস তৈরি হবে। মন্ত্রী মনোজ চ্যাম্পিয়ন হবে। একই সঙ্গে দলের কোচ প্রাক্তন মন্ত্রী। গিনেস বুকে নাম উঠবে।’

Next Article