লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচ থাকলেই এখন নজর থাকে একজনের দিকেই। রাজধানী এক্সপ্রেস। মায়াঙ্ক যাদব। এ বারের আইপিএলের আবিষ্কারও বলা যায়। এর আগের দু-মরসুম লখনউ টিমে থাকলেও খেলা হয়নি। গত মরসুমে তাঁর খেলা নিশ্চিত ছিল। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচে চোটের কারণে পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। হঠাৎ এমনই অস্বস্তি লখনউ সুপার জায়ান্ট শিবিরে। ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে জিতলেও রাজধানী এক্সপ্রেসকে নিয়ে চিন্তা। কিছুটা আপডেট দিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অভিষেক আইপিএলে অভিষেক হয়েছে মায়াঙ্ক যাদবের। প্রথম ম্যাচেই ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট। টানা দু-ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জিতেছেন। তাঁকে নিয়ে আকর্ষণ অন্য। প্রথম ম্যাচেই ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টা স্পিড তুলেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেকেই ছাপিয়ে যান মায়াঙ্ক। আরসিবির বিরুদ্ধে ১৫৬.৭ কিমি/ঘণ্টায় বোলিং করেন। ১৫০-এর উপর গতি তোলা তাঁর কাছে খুব সহজ। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে হঠাৎ কী হল!
মায়াঙ্ক যাদবেরে জন্য গ্যালারিতে নানা পোস্টার। তাতে আবদারই বেশি। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতারের ১৬১.৩ কিমি/ঘণ্টা ছাপিয়ে যাওয়ার আবদার জানিয়ে পোস্টার ছিল মায়াঙ্কের জন্য। পাওয়ার প্লে-তেই বোলিংয়ে আসেন তরুণ পেসার। যদিও প্রথম ওভারে ১৪১ কিমি/ঘণ্টার বেশি স্পিড তুলতে পারেননি। অনেকেই ভেবছিলেন, হয়তো পরের ওভারগুলিতে এক্সপ্রেস ডেলিভারি দেখা যাবে। যদিও এক ওভার বোলিং করেই মাঠ ছাড়েন। এতেই আশঙ্কা বাড়ে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য় সতীর্থদের সঙ্গে দেখা যায় মায়াঙ্ককে। হঠাৎ কী হল? বিষয়টা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। ম্যাচ শেষে সিনিয়র ক্রিকেটার ক্রুনাল পান্ডিয়া জানান- ওর বিষয়ে খুব বেশি কথা হয়নি। তবে যেটুকু জেনেছি, কোনও বড় সমস্যা নেই, ও সুস্থই রয়েছে। যদিও আশঙ্কা কিন্তু কাটছে না।