মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ভাগ্য ফিরবে! অঙ্কের বিচারে এখনও প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে। তবে সেই লাইফলাইন সানরাইজার্স ম্যাচের ফল অবধি। ঘরের মাঠে বিধ্বংসী সানরাইজার্সকে মাত্র ১৭৩ রানেই আটকে রাখল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ‘মাত্র’ কথাটা যোগ করতেই হচ্ছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং আক্রমণের ক্ষমতা কারও অজানা নয়। ওয়াংখেড়েতেও বিধ্বংসী শুরু করেছিল সানরাইজার্স। ভাগ্যও সঙ্গ দিচ্ছিল। দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বোলিং।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হল হরিয়ানার তরুণ অলরাউন্ডার অংশুল কম্বোজ। জার্সি নম্বর ৪৭। নামের শর্ট একে! মুম্বই জার্সিতে প্রথম ম্যাচে ভাগ্য এত পরীক্ষা নেবে তা হয়তো প্রত্যাশা করেননি। শুরুতেই উইকেট নিয়েছিলেন অংশুল। কিন্তু সেলিব্রেশন শুরুর সঙ্গেই নো বলের সাইরেন বেজে ওঠে। মুম্বইকে প্রথম ব্রেক থ্রু দেন জসপ্রীত বুমরা। উইকেটের পিছনে অভিষেক শর্মার দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ঈশান কিষাণ।
অংশুলের ভাগ্য পরীক্ষা তখনও বাকি ছিল। ট্রাভিস হেড থার্ডম্যানে খেলেছিলেন। নুয়ান তুষারা হাতের ক্যাচ ফসকান। অবশেষে সেই ওভারেই উইকেট মেলে। মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে বোল্ড করেন অভিষেককারী। তৃতীয় সুযোগে কেরিয়ারের প্রথম উইকেট মেলে অংশুলের। মুম্বইয়ের দিকে ম্যাচের মোড় ঘোরান অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার পীযুষ চাওলা। তিন উইকেট নেন তিনি। অনবদ্য বোলিং করেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও। তিন উইকেট হার্দিকের ঝুলিতেও।
শেষ দিকে ১৭ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নয়তো ১৫০ রানের গণ্ডি পেরনো কঠিন হত হায়দরাবাদের। প্লে-অফের অঙ্কে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জিততেই হবে মুম্বইকে। এর জন্য চাই ১৭৪ রান। সঙ্গে নেট রান রেটও বাড়াতে হবে।