কেপটাউন: ক্রিকেট এখন অনেক এগিয়েছে। নতুন প্রজন্মে মুগ্ধ কিংবদন্তি মিতালি রাজ (Mithali Raj)। তবে এখনকার ক্রিকেটে এবং আগামী দিনেও, অলরাউন্ডারদেরই রাজত্ব চলবে বলে মনে করেন মিতালি রাজ। শুধু মাত্র ব্য়াটিং কিংবা বোলিংয়ের জন্য় দলে থাকতে হলে ব্য়তিক্রমী হতে হবে। প্রতিটা দলই অলরাউন্ডারদের দিকে বেশি ঝুঁকছে, এমনটাও মত মিতালির। তাঁর নেতৃত্বে দুটি ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ভারত। দু-বারই অবশ্য় রানার্স হয়েছে। আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতীয় সিনিয়র মহিলা ক্রিকেট দল কোনও ট্রফি জিততে পারেনি। বেশ কয়েক বার ট্রফির খুব কাছ থেকে ফিরেছে ভারত। এ বারের বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে বিদায়। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছিল ভারত। সার্বিক ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত কিংবদন্তি মিতালি। আইসিসির কলামে অনেক বিষয়েই মত রাখলেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এখনকার ক্রিকেটে দলে থাকতে হলে অলরাউন্ডার হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন মিতালি রাজ। আইসিসি কলামে লিখেছেন- এখন প্রতিটা প্লেয়ারই বোঝে দু-তিনটে ভূমিকায় অবদান রাখতে না পারলে সুযোগ পাওয়া কঠিন। কোনও ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ প্লেয়ার এখন আর কাঙ্খিত নয়। এ ক্ষেত্রেও ব্য়তিক্রম রয়েছে। যেমন ব্য়াটিংয়ে মেগ ল্য়ানিং কিংবা স্মৃতি মান্ধানার মতো কয়েকজন। কিংবা বোলিংয়ে ডার্সি ব্রাউন বা শাবনিম ইসমাইলের মতো পেসার যারা ১২০ কিমি/ঘণ্টায় বোলিং করতে পারে। বাকিদের ক্ষেত্রে বলব, অলরাউন্ডার হতে হবে।
এক্ষেত্রে মিতালি উদাহরণ হিসেবে বলেছেন ইংল্য়ান্ডের বাঁ হাতি স্পিনার সোফি এক্লেস্টনের কথা। সোফি মূলত বোলার। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বোলারদের তালিকায় শীর্ষস্থানে থেকেছেন দীর্ঘ সময়। ক্রমশ ব্য়াটের হাতও ভালো করেছেন। তাঁর ক্য়ামিও ইনিংস অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তেমনই অস্ট্রেলিয়ার গ্রেস হ্য়ারিস বোলিংয়ে যেমন ভরসা দেন দলকে, ব্য়াটিংয়েও অবদান রাখেন। এমন ধরনের ক্রিকেটাররাই বর্তমান দিতে কার্যকরী ভূমিকা নেয় এবং আগামিতেও নেবে বলে মনে করেন মিতালি।