দুবাই: ১২ ম্যাচে ১৫ উইকেট তাঁর ঝুলিতে। উইকেট শিকারিদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছেন বাংলার পেসার। এই তথ্য দিয়ে অবশ্য মহম্মদ সামিকে (Mohammed Shami) বিচার করা যাবে না। আইপিএলে (IPL) সবচেয়ে দুর্লভ হল মেডেন ওভার। তাও ১ ওভার রয়েছে সামির। এতেই শেষ নয়, চলতি আইপিএলে ৪৪.৪ ওভার বল করে ১২৫টা ডট বল করেছেন তিনি। হিসেব কষে ব্যাটারদের বিরুদ্ধে এমন বোলিং কাউকেই করতে দেখা যাচ্ছে না।
সামির এমন আশ্চর্য বোলিংয়ের রহস্য কী? হাফভলি বল না দেওয়াতেই সাফল্য পাচ্ছেন তিনি। সামির কথায়, ‘সোজাসাপ্টা ব্যাপারগুলোই মাথায় রাখছি। বিভিন্ন মাঠের বাউন্ডারির মাপ বিভিন্ন হয়। কোনওটা ছোট, কোনওটা বড়। সিনিয়র হিসেবে অভিজ্ঞতা দিয়ে বল করার চেষ্টা করছি। ডেথে ফুলটস বল করা যায়। কিন্তু হাফভলি দেওয়া কখনওই নয়। আমি লক্ষ্যটা ঠিক করে রেখেছি। যাতে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি।’
সামির সবচেয়ে বড় গুণ হল, বোলিংয়ের সময় সিমটা ব্যবহার করেন। যে কোনও পিচ থেকে বাড়তি বাউন্স আদায় করে নিতে পারেন। দু’দিকেই সুইং থাকার জন্য বিভ্রান্ত করতে পারেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে। সেই সুযোগটাই তুলছেন আইপিএলেও।
নিজেকে নিয়ে সামির মন্তব্য, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটার কখন যে অ্যাটাক করবে, কেউ জানে না। সেই কারণে স্বাভাবিক বোলিং করাটা দরকার। সেটাই করছি।’
শুধু নিজেকে নিয়ে নয়, টিমের তরুণ বোলারদেরও এগিয়ে দিচ্ছেন সামি। চাপের মুহূর্তে নিজেই বল করতে আসেন। যাতে জুনিয়ররা চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলতে পারেন। অর্শদীপ সিং পঞ্জাব টিমের সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
সামি বলছেনও, ‘সিনিয়র হলেও আমি জুনিয়রদের সঙ্গে কোনও ফারাক রাখি না। অর্শদীপকেও আমি এটা বলি সব সময় যে, নিজের মাথাটা সব সময় ফাঁকা রেখো। যাতে ম্যাচ অনুযায়ী খেলতে পারো।’
৩১ বছরের সামি ২০১৯ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময় থেকেই নতুন করে ফিরে পেয়েছেন নিজেকে। মাঠের বাইরের ঝামেলায় বিপর্যস্ত পেস বোলার এখন যেন ফর্মের মধ্যগগনে রয়েছেন। সেরাটা দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচে। প্লে-অফে ওঠাটাই লক্ষ্য তাঁর। যাতে টিমকে আইপিএল দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: IPL 2021 Purple Cap: বেগুনি টুপিতে কাউকে ভাগ বসাতে দিচ্ছেন না হার্ষাল