IND vs BAN: সেরা ফিল্ডার মেডেলে ডাবল ধামাকা, প্রথা ভেঙে ভারতের ড্রেসিংরুমে যা হল…

Watch Video: এতদিন টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার দেওয়া হত সেই ক্রিকেটারকে, যিনি কোনও সিরিজে বা ম্যাচে সবচেয়ে ভালো ফিল্ডিং করতেন। এ বার বাংলাদেশ টেস্টের শেষে প্রথা ভাঙল টিম ইন্ডিয়া। এক নয়, এই সিরিজের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেলেন ২ জন।

IND vs BAN: সেরা ফিল্ডার মেডেলে ডাবল ধামাকা, প্রথা ভেঙে ভারতের ড্রেসিংরুমে যা হল...
IND vs BAN: সেরা ফিল্ডার মেডেলে ডাবল ধামাকা, প্রথা ভেঙে ভারতের ড্রেসিংরুমে যা হল...Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Oct 02, 2024 | 6:20 PM

কলকাতা: বাইশ গজে শুধু ব্যাটে-বলেই জমজমাট হলে চলে না, ফিল্ডিংয়েও জান প্রাণ লড়িয়ে দিতে হয়। ভারত-বাংলাদেশ ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত ক্যাচ দেখা গিয়েছে। যেগুলির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে যে চার ক্যাচের কথা না বললেই নয়, সেগুলোর কথা উল্লেখ হয়েছে ভারতের ড্রেসিংরুমেও। এতদিন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) ড্রেসিংরুমে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার দেওয়া হত সেই ক্রিকেটারকে, যিনি কোনও সিরিজে বা ম্যাচে সবচেয়ে ভালো ফিল্ডিং করতেন। এ বার বাংলাদেশ টেস্টের শেষে প্রথা ভাঙল টিম ইন্ডিয়া। এক নয়, এই সিরিজের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার (Best Fielder Medal Award) পেলেন ২ জন। বোর্ডের শেয়ার করা ভিডিয়োর শেষে দেখা গিয়েছে সেই চমক। কারা পেলেন এই পুরস্কার?

সেরা ফিল্ডারের মেডেলের দাবিদার হিসেবে বিসিসিআই টিভির শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ৪ ক্রিকেটারের নাম নিয়েছেন। তাঁরা হলেন যশস্বী জয়সওয়াল, মহম্মদ সিরাজ, রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। কানপুরে এক হাতে একটি অনবদ্য ক্যাচ নেন রোহিত। কিন্তু সেরা ফিল্ডারের মেডেল তাঁর গলায় ওঠেনি। বরং এই পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের অপর দুই তারকা। হ্যাঁ, এই প্রথম বার সেরা ফিল্ডারের মেডেল একসঙ্গে পেলেন দুই ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁরা হলেন মহম্মদ সিরাজ এবং যশস্বী জয়সওয়াল। তাঁরা একে অপরকে সেরা ফিল্ডারের পদক পরিয়ে দেন।

এই খবরটিও পড়ুন

মহম্মদ সিরাজ বিসিসিআই টিভির শেয়ার করা ভিডিয়োতে বলেন, ‘আমি টেস্ট ক্রিকেট যতদিন খেলছি, তার মধ্যে এই প্রথম বার তিনদিন আমরা ফিল্ডিং করলাম। বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। একটা লম্বা স্পেল করতে হবে আমরা জানি। চাপ ধরে রাখতে হবে। অনেকদিন ধরে নিজের ফিল্ডিং নিয়ে কাজ করছি। আমি কোন জায়গায় উন্নতি করতে পারি, সেটার চেষ্টা করেছি। নিজেকে ভালো ফিল্ডার মনে করি আমি। এই ক্যাচটা এবং বিশ্বকাপের সময়ের একটা ক্যাচ আমার জীবনের ২টো সেরা ক্যাচ হয়ে থাকবে। চেন্নাইয়ে চেষ্টা করেছিলাম বাঁ হাতে একটা ক্যাচ নেওয়ার। সেটা পারিনি। তবে আমি এখানে পেরেছি। ওই ক্যাচটার পর ব্যাক টু ব্যাক উইকেট পেয়েছি আমরা।’

রোহিতের সঙ্গে যে সময়টা ক্রিজে কাটিয়েছিলেন যশস্বী কানপুরে, তার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘রোহিত শর্মা অনবদ্য। তিনি ড্রেসিংরুমে, হাডলে এবং মাঠে যে ভাবে আমাদের মোটিভেট করেন, তা নিয়ে যতই বলি ততই কম। আমি এই জায়গায় আসতে পেরে, নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। যা যা শিখতে পারছি, তার জন্য দারুণ লাগছে।’

সিরাজ, যশস্বীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা, ভাবনা যেমন বোর্ডের শেয়ার করা ভিডিয়োতে জানিয়েছেন, তেমনই হিটম্যান নিজের এক হাতে নেওয়া ক্যাচ নিয়ে বলেন, ‘টাইমিংটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সঠিক সময়ে না লাফাতে পারলে ক্যাচটা হত না। আমি সঠিক সময়ে লাফিয়েছিলাম, এবং ঠিক করে বলটা তালুবন্দি করেছিলাম।’