কলকাতা: ২২ অক্টোবর ২০২২ থেকে ১৬ মে ২০২৩। এই ছয়মাসের মধ্যে ক্রীড়া জগতে অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে। টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড, তিন দশক পর আর্জেন্টিনার ঘরে এসেছে ফুটবল বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপ জিতেছে দেশে মহিলা অনূর্ধ্ব ১৯ টিম, সানিয়া মির্জার অবসর, মেয়েদের আইপিএল-সহ অগুনতি ঘটনা। কিন্তু ওই সময়টুকুর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের বাঁ হাতি পেসার মহসিন খানের (Mohsin Khan) জীবনটা বদলে গিয়েছে এক লহমায়। গতবছর আইপিএলে (IPL 2023) দুরন্ত পারফর্ম করা মহসিন বাঁ দিকে কাঁধে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। এমনকী হাত বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গও তোলেন চিকিৎসকরা। ২২ অক্টোবর মহসিনের অস্ত্রোপচার হয়। তারপর সুস্থ হতে হতে পরের মরসুমের আইপিএল চলে এল। চোটের কারণে লখনউয়ের হয়ে গোনা গুনতি ম্যাচ খেলেছেন মহসিন। মঙ্গলবার রাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG vs MI) জয়ের নায়ক তিনিই। টিম ডেভিড, ক্যামেরিন গ্রিনদের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারদের রুখে ৫ রানে লখনউকে ম্যাচ জিতিয়েছেন মহসিন। লখনউয়ের শেষ ওভারের নায়কের মনে পড়ে যাচ্ছে স্ট্রাগলের দিনগুলি। বিস্তারিত রইল Tv9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
২৪ বছরের মহসিন ক্রিকেট খেলার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। ছাড়বেন নাই বা কেন? বাঁ হাত তুলতেই পারতেন না, সেই হাতে বল তুলে নেওয়া অলীক স্বপ্ন। হাত সোজা করতেই পারতেন না মহসিন। উত্তরপ্রদেশের পেসার সেই কঠিন সময়ের কথা মনে করে বলেছেন, “আমি যেভাবে চোটের কবলে পড়েছিলাম, প্রার্থনা করি যে এমন চোট কোনও ক্রিকেটারের যেন না হয়। অন্যধরনের চোট। আমার ধমনী পুরোপুরি ব্লক হয়ে গিয়েছিল। বাঁ হাতে নার্ভ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে প্রচণ্ড ভুগেছি। ভীষণ কঠিন সময় ছিল সেটা। ক্রিকেট খেলার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেইসময় আমার রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, রাজীব শুক্লা স্যার, গৌতম গম্ভীর স্যার, লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি, সঞ্জীব স্যার এবং আমার পরিবার- সকলেই পাশে ছিলেন।”
মহসিনের গোটা শরীর কেঁপে উঠেছিল সেদিন, যেদিন অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, আর মাসখানেক দেরি হলেই হাত বাদ দিতে হত। মহসিন বলেছেন, “মেডিকেলের বিষয় তো। শুনেই আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”