কলকাতা : ক্রিকেটের সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ। ঠিক যেন এমনটাই বলা যায়। আমাদের দেশের ক্রিকেট প্রেম সারা বিশ্বের কাছে ঈর্ষার। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া যে দেশই খেলতে আসুক, ভারতের ক্রিকেট প্রেম নিয়ে বরাবর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ক্রিকেট এখানে ধর্ম। সচিন তেন্ডুলকর ক্রিকেটের ভগবান। আলোক ঝলমলে স্টেডিয়ামেই যে শুধু ক্রিকেটে মাততে দেখা যায় তা নয়। অলিতে-গলিতে, বাড়ির উঠোনে, এক চিলতে জায়গা পেলে, সেখানেই চলে ক্রিকেট খেলা। কাশ্মীরে পাহাড়ের কোলে হোক কিংবা মুম্বইয়ের কোনও ঘিঞ্জি এলাকা। ক্রিকেট সকলের মুখে হাসি ফোটায়। দুঃখ, হতাশা ভুলতে সাহায্য করে। মিউজিক থেরাপি যতটা ফলপ্রসু, অনেকের কাছে তেমনই ক্রিকেট থেরাপি। রাস্তায় চলতে চলতে একটু হাত ঘুরিয়ে বোলিংয়ের চেষ্টা, কিংবা খালি হাতে ব্যাটিং শ্যাডো! আট থেকে আশি, সকলের কাছেই একইরকম উত্তেজনার। সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি কিংবা রোহিত শর্মা। নিজেদের বাসস্থানের আশেপাশে খুদেদের সঙ্গেও ক্রিকেটে মেতে ওঠেন। তবে এই ঘটনা আরও অভিনব। ভিডিয়োটি কোথাকার, তা অবশ্য যাচাই করেনি TV9Bangla Sports। তবে এই ভিডিয়োতে ভালো লাগার মতো নানা রসদ মজুদ রয়েছে। বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
অনেকেই হয়তো এই ভিডিয়ো দেখে ফিরে যেতে পারেন ছেলেবেলায়। পাড়ায় ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কত না বল হারিয়েছে। আবার অনেক সময় অপেক্ষা করত সারপ্রাইজও। কোনও শটে হয়তো বল হারাল, সেই বল খুঁজতে গিয়ে মিলে যেতে পারে আগে হারিয়ে যাওয়া অন্য আরও এক-দুটি বলও। কিন্তু মাঝ সমুদ্রে জাহাজে ক্রিকেট খেললে এবং বল হারিয়ে গেলে সেটা কী ভাবে উদ্ধার করা হবে! এরও উপায় খুঁজে বের করেছেন ওরা। জাহাজে যখন খেলছেন, বল সমুদ্রে পড়ার সম্ভাবনা কয়েকশো শতাংশ। সে কারণেই অভিনব উপায় বের করেছেন ওরা।
— Out Of Context Cricket (@GemsOfCricket) May 15, 2023
ক্রিকেটের নবীশরা হামেসাই বল ঝুলিয়ে শ্যাডো করেন। যেমন খুশি শটই খেলা হোক না কেন, বল ঘুরে ফিরে একটা জায়গায়ই ফিরবে। অনেকে মিলে খেলার সময়ও যে এই উপায় কাজে লাগানো যায়, এই ভিডিয়োতেই স্পষ্ট। বলটিকে দড়ি লাগানো। তবে অনেকটাই বড়। ফলে ব্যাটার চাইলে অনেকটা দূরেও শট খেলতে পারেন। যেখানেই শট মারুন, ঘুরে ফিরে বল ফেরত আসবে জাহাজেই। ক্রিকেট প্রেম জাগিয়ে রাখাই হোক কিংবা সময় কাটানো। এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারে! ফিটনেস ট্রেনিংও তো হয়ে যাচ্ছে এই উপায়ে।