এ বারের আইপিএলে দুটো ম্যাচ খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাট হাতে দেখা যায়নি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। এই দৃশ্য গত মরসুমেও বিরল ছিল। হাতে গোনা কিছু ম্যাচেই ব্যাট করেছিলেন মাহি। গত মরসুমে যা রবীন্দ্র জাডেজার কাছে অস্বস্তির কারণ হয়েও দাঁড়িয়েছিল। জাডেজার পর নামতেন ধোনি। সিএসকে সমর্থকরাও চাইতেন ধোনি নামুক। এর জন্য জাডেজা ব্যাট হাতে নামলেই ধোনি ধ্বনিতে গ্যালারি মেতে উঠত। এ মরসুমে দু-ম্যাচে ধোনি নামেননি। শেষ উইকেট না এলে কি ধোনি নামবেন না? এই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে। ধোনির ব্যাট হাতে নামা উচিত কিনা, এই প্রশ্নে অবশ্য অ্যাসেজের প্রতিদ্বন্দ্বিতা উধাও।
ব্যাট হাতে নামছেন না। ক্যাপ্টেনও নন। তাতেও মুহূর্তে কোনও না কোনও ভাবে ম্যাচের রং বদলে দিচ্ছেন সিএসকের লিডার মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর কি ব্যাটিংয়ে নামা উচিত? সমর্থকরা নিঃসন্দেহে হ্যাঁ বলবেন। মাহিকে ব্যাট করতে দেখা কেই বা মিস করতে চাইবেন! যদিও এই একটা বিষয় একমত, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার ব্রড এবং অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান ব্যাটার স্টিভ স্মিথ এ বারের আইপিএলে বিশেষজ্ঞ হিসেবে রয়েছেন। কী বলছেন তাঁরা?
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড বলছেন, ‘এই বয়সেও ও দুর্দান্ত। কিংবদন্তি। আমি মনে করি, ধোনির ব্যাট হাতে নামার প্রয়োজন নেই। ও এমনিতেই একেকটা ছোট্ট ছোট্ট সিদ্ধান্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। ওর কাছে কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। চেন্নাইয়ে ওর সতীর্থরাও অবাক হয়ে যায়, সমর্থকরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়। এর চেয়ে ভালো মুহূর্ত আর কী হতে পারে!’
স্টুয়ার্ট ব্রডের বলার কারণ নানা। যেমন গত ম্যাচে ড্যারেল মিচেলের বোলিংয়ে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ধোনির ক্যাচ। যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের কাছে সেটা স্বপ্নের মুহূর্ত। এমনকি স্টিভ স্মিথের মতো কিংবদন্তি ব্য়াটারও সেই রেশ থেকে বেরোতে পারছেন না। ব্রডের সুরে সুর মেলান স্মিথও। বলছেন, ‘টাইম মেশিনে বারবার সেই মুহূর্তটায় ফিরতে ইচ্ছে করবে। ২.২৭ মিটার ডাইভ, দু-হাতে ক্যাচ, দেখে মনে হয়েছে এত সহজ! ড্যারেল মিচেল এক্সপ্রেস গতির পেসার নন। ফলে ধোনি তুলনামূলক ভাবে উইকেটের অনেকটা ক্লোজ ছিলেন। ক্যাচের রিঅ্যাকশন টাইম খুবই কম ছিল। এর মধ্যেও ক্যাচটা এত সহজ ভাবে নিল!’
ধোনির এই মুহূর্তগুলিই স্টেডিয়ামে যেমন ‘শব্দ-দূষণ’ করছে, ব্যাট হাতে নামলে কী হবে, এ যেন সহজেই অনুমান করা যায়। এ বারের আইপিএলই সম্ভবত ধোনির ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ। প্রতিটা মুহূর্ত যেন স্মরণীয় করে রাখছেন মাহি।