MS Dhoni: ‘সম্মান চাওয়া যায় না, অর্জন করতে হয়’, অধিনায়কদের বার্তা ধোনির
টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। তাঁর নেতৃত্বে ভারত টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল। শুধু তাই নয় ধোনিই ভারতের সেই ক্যাপ্টেন যিনি দেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতিয়েছিলেন। এ বার ধোনি বললেন, 'সম্মানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আনুগত্যও।
কলকাতা: তিনি সুপার কুল… তিনি ক্যাপ্টেন কুল… মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) পাঠশালায় এক বার যে ক্রিকেটার পাঠ পান, তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার প্রশস্ত হয়। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে সারা ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনা হয়। মুখের কথায় নয়, কাজ দিয়ে সম্মান অর্জন করতে হয়। একথা বলেছেন ধোনি। সম্প্রতি Enigmatic Smile এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মুম্বইয়ে তারই অনুষ্ঠানে এসে ধোনি বর্তমান সকল অধিনায়কদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন যে, সম্মান চেয়ে পাওয়া যায় না। সম্মান অর্জন করে নিতে হয়।
টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর নেতৃত্বে ভারত টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল। শুধু তাই নয় ধোনিই ভারতের সেই ক্যাপ্টেন যিনি দেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতিয়েছিলেন। এ বার ধোনি বললেন, ‘সম্মানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আনুগত্যও। ড্রেসিংরুমে সাপোর্ট স্টাফ বা ক্রিকেটাররা যদি সম্মান না জানায়, তা হলে সেই আনুগত্য পাওয়া যায় না। শ্রদ্ধা অর্জন করতে হয়। জোর করে কোনওভাবেই শ্রদ্ধা পাওয়া যায় না।’
ক্যাপ্টেন কুলের মতে একজন সফল অধিনায়কের কাছে, তাঁর কাজই আসল এবং গুরুত্বপূর্ণ। ধোনির কথায়, ‘আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি, চেয়ার কিংবা ব়্যাঙ্কিংয়ের উপরে শ্রদ্ধা কখনও নির্ভর করে না। আচরণের মাধ্যমে এগুলো প্রকাশ পায়। মানুষ অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অনেক সময় এমন হয় যে নিজের উপরেও বিশ্বাস থাকে না। একবার দলের আস্থা ও সমীহ পেয়ে গেলে পারফরম্যান্সও তেমন হয়। আর সেই সম্মান পেতে হলে ড্রেসিংরুমের প্রত্যেক ক্রিকেটার, প্রত্যেক সদস্যের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জানা দরকার। তা হলেই ভুলত্রুটি গুলো শুধরে দেওয়াও সম্ভব হয়।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে শুধু আইপিএলে খেলেন ধোনি। তিনি খুব ভালো করে তাঁর দলের ক্রিকেটারদের বোঝেন। তাঁর কথায়, ‘কেউ কেউ চাপ ভালোবাসে আবার কেউ কেউ চাপ পছন্দ করে না। সকলের শক্তি ও দুর্বলতা খুঁজে বের করাই আসল। একবার সেটা করতে পারলে তাঁকে তাঁর দুর্বলতার ব্যাপারে না জানিয়েই উন্নতি করতে সাহায্য করা যায়। আর সেটা হলে একজন প্লেয়ারের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’