দুবাই: ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের (Ruturaj Gaikwad) ৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। সেই সঙ্গে ডোয়েন ব্র্যাভোর (Dwayne Bravo) ৮ বলে ঝোড়ো ২৩ ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিল। চেন্নাই ১৫৬-৬ তোলে। যার জোরে মুম্বইকে ২০ হারিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির টিম। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম জিতে সিএসকে প্রমাণ করেছে, এ বার ট্রফিটার জন্যই মাঠে নেমেছে তাঁর টিম। মুম্বইয়ের মতো ধারালো টিমকে হারানো সম্ভব হয়েছে ঋতুরাজ, ব্র্যাভোর জন্যই। ধোনি তো বলেই দিয়েছেন, প্রত্যাশার থেকে অনেক বেশি দিয়েছেন তাঁরা।
ধোনির কথায়, ‘একটা সময় আমরা ৩০-৪ হয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে লড়াই করার মতো রান তুলতে পেরেছি। সেটা সম্ভব হয়েছে ঋতুরাজ আর ব্র্যাভোর জন্য। আমি ভেবেছিলাম, ১৪০-এর আশেপাশে থাকবে টিমের রান। কিন্তু ওরা সেটাকে প্রায় ১৬০-র কাছে নিয়ে চলে গিয়েছিল। যা প্রত্যাশা করেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি দিয়েছে ওরা দু’জন। রায়াডুর চোট লেগেছিল। সেখান থেকে ঋতু আর ব্র্যাভো যে ভাবে টিমকে টেনে তুলেছে, কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’
অনেকেই বলছেন, এই আইপিএলকেই প্লেয়ার ধোনিকে শেষবার দেখা যাবে। তারপর ‘প্রাক্তন’ ধোনি নিজের কেরিয়ার অন্য দিকে নিয়ে যেতে চান। আর তাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মেন্টর হওয়ার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন তিনি। সে দিক থেকে দেখলে এই আইপিএল ধোনির কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গতবার আমিরশাহিতেই চেন্নাই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ক্যাপ্টেন ও ব্যাটসম্যান ধোনিকে নিয়ে বিস্তর কথাও হয়েছিল। সেখান থেকে টিমকে ঘুরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। আইপিএলের প্রথম পর্বেও টিম দারুণ খেলেছে। দ্বিতীয় পর্বটাও জয় দিয়েই শুরু করেছে ধোনির টিম।
ধোনি বলেছেন, ‘উইকেটে দু’রকম গতি ছিল। শুরুর দিকে বল থমকে আসছিল। এইরকম পিচে ব্যাট করা খুব কঠিন। তারপরও ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলেছে। সেই সঙ্গে টিম হিসেবেও আমরা নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছি।’
৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগ টেবলের মগডালে চেন্নাই। হাতে আরও ছ’টা ম্যাচ বাকি। তবে, টিমকে প্লে-অফ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হলে বাকি ম্যাচেও সেরাটা দিতে হবে। সেটা খুব ভালো করেই জানেন মাহি। তাই জয়ের সঙ্গে ছন্দটাও আবার ফিরিয়ে আনতে চান। ঋতুরাজ ছাড়া বাকি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান না পাওয়াটা কিছুটা চিন্তায় রাখছে তাঁকে।