কলকাতা: বেস প্রাইস ২ কোটি। কতদূরই বা উঠতে পারেন? দড়ি টানাটানি করতে করতে ২ কোটি গেল ৮ কোটিতে। আর তাও কিনা আরটিএম ব্যবহার করে কিনল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি। গত মরসুমে দিল্লিতেই খেলেছেন। পারফর্ম্যান্সও বেশ ভালো। এ হেন বাংলার পেস বোলারকে নেওয়ার জন্য অন্য টিমগুলো যে আগ্রহী হবে, মোটামোটি জানাই ছিল। হলও তাই। কিন্তু টুইস্ট অন্য জায়গায়। মুকেশ কুমারের (Mukesh Kumar) জন্য তখন নিলামের টেবিলে রীতিমতো টক্কর দিচ্ছে চেন্নাই ও পঞ্জাব। তার জেরে এক সময় সাড়ে ৬ কোটি দর উঠে যায় মুকেশের। ঠিক তখনই এন্ট্রি নিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মুকেশকে আদ্যপান্ত চেনেন। বাংলার হয়ে তাঁর উত্থানের দিনগুলো জানা। এমন প্রতিভাবান পেস বোলারকে হাতছাড়া করতে চাননি মহারাজ। আর তাই শেষ মুহূর্তে আরটিএম নিয়ে নিলামে হাজির হল দিল্লি ক্যাপিটালস। পঞ্জাব দর দিয়েছিল ৮ কোটি। সেই ৮ কোটিতেই মুকেশকে তুললেন সৌরভ।
২০২৩ সালে আইপিএল ডেবিউ হয়েছিল মুকেশের। হাতে চমৎকার সুইং, ডেথ ওভারে পারদর্শী। শুধু তাই নয়, যে কোনও আগ্রসন রুখে দিতে পারেন। বিহারের ছেলে বাংলার হয়ে খেলতে আসার সময় থেকেই অনেকে বলেছিলেন, মুকেশ অনেক দূর যাবেন। নিরাশ করেননি মুকেশ। আইপিএলের জন্য বিয়ে পর্যন্ত পিছিয়েছেন। ২০২৩ সালে মাত্র ৭টা উইকেট ছিল তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু গত মরসুম মুকেশের কাছে কেরিয়ার ঘোরানো পারফর্ম্যান্স পাওয়া গিয়েছে। ১০টা ম্যাচ খেলে ১৪টা উইকেট নিয়েছেন। টিম হয়তো প্লে অফ বা ফাইনাল যেতে পারেনি। কিন্তু মুকেশের পারফর্ম্যান্সের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল রিকি পন্টিং, সৌরভের মুখে। সেই পারফর্ম্যান্সের মাধ্যমেই জাতীয় দলের দরজাও খুলে ফেলেন মুকেশ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে তাঁর টেস্ট অভিষেকও হয়। আপাতত ভারতীয় দলের একাদশে জায়গা না পেলেও পরিকল্পনাতে রয়েছেন মুকেশ। সেই কারণেই তাঁকে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল পন্টিংয়ের পঞ্জাব। প্রীতি জিন্টার টিমের বিদেশি কোচ হার মানলেন সৌরভের কাছে।
আইপিএলের আগামী মরসুম মুকেশ কুমারের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিন ফর্ম্যাটেই ভারতীয় দলে নিয়মিত হতে চান বাংলার পেস বোলার। আইপিএলের মঞ্চে যদি আরও বেশি উইকেট তুলতে পারেন, টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় প্রবল ভাবে ঢুকে পড়বেন।