দীপঙ্কর ঘোষাল : আইপিএলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শুরুটা খুবই মন্থর হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ক্রমশ স্পিড বাড়ায় তারা। আইপিএলের গত বারের সংস্করণে অবশ্য এমনটা দেখা যায়নি। হতাশায় মরসুম শেষ করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এ বারও শুরুটা ভালো হয়নি। তবে আরসিবির বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ে বিরাট আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল মুম্বই। ১০ পয়েন্টের ট্রাফিক জ্য়ামে আটকে ছিল পাঁচটি দল। সেখান থেকে বেরোতে পারল মুম্বই। ২১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের বড় জয়ে নেট রান রেটেও দারুণ উন্নতি করল তারা। সবটাই কার্যত সম্ভব হল সূর্যকুমার যাদবের বিধ্বংসী ইনিংসে। মাত্র ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেন। স্কাই মাঠ ছাড়ার সময় পিঠ চাপড়ে দেন বিরাট কোহলি। হতাশা থাকল রোহিত ফর্মে না ফেরায়। ম্যাচ শেষে কী বলছেন স্কাই? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
জয়টা কেমন উপভোগ করলেন। এক গাল হাসি নিয়ে ম্য়াচের সেরা সূর্যকুমার যাদব বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। এমনই একটা জয়ের অপেক্ষা করছিলাম। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেটা এসেছে। দলের প্রেক্ষিতে বলতে পারি, হোম ম্যাচে এরকম জয়, খুবই ভালো।’ স্কাই এই ম্য়াচে ৬টি ওভার বাউন্ডারি মারেন। তার চেয়েও নজর কাড়ে সাতটি বাউন্ডারি। তাঁর জন্য বিশেষ হোমওয়ার্ক করে নেমেছিল আরসিবি। যদিও বোর্ডে ২০০-র ওপর রান না রাখতে পারা এবং ফিল্ডিংয়ে কিছু ভুলও চাপ বাড়ায়। টিমের সেরা ফিল্ডার বিরাট কোহলি যখন বাউন্ডারি গলান, বাকিদের আত্মবিশ্বাস সহজেই আন্দাজ করা যায়।
প্রতিপক্ষ শিবিরে এত হোমওয়ার্কের পরও স্কাইয়ের সাতটি বাউন্ডারি। সূর্য বলছেন, ‘জানতাম, ওদের একটা বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। যত বেশি সম্ভব স্লোয়ার দিতে চেয়েছিল। যাতে পাওয়ারফুল শট না খেলা যায়। চাইছিল, আমি যেন বড় বাউন্ডারির দিকেই শট খেলি। নেহালের সঙ্গেও কথা বলি। আমরা ঠিক করি, প্রতিপক্ষ যেমন পরিকল্পনা করেছে, আমাদেরও সেই অনুযায়ী বাউন্ডারি বের করে নিতে হবে। বাউন্ডারি না এলেও রানিং বিটউইন দ্য় উইকেটে স্কোর বোর্ডে প্রেসার পড়তে দেওয়া যাবে না। সেই অনুযায়ীই আমরা ব্যাটিং করেছি।’ গ্য়াপ খুঁজে বের করাও একটা আর্ট। সচিন করেছেন, বিরাট করেন। এর জন্য় কী প্রয়োজন! স্কাই জানালেন, অনুশীলনেও সিচুয়েশন ভেবে শট খেলেন। নিয়মিত প্র্যাক্টিসেই গ্য়াপ খুঁজে নেওয়ার এই অভ্য়াস তৈরি হয়েছে।