মুম্বই: চলতি উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে হরমনপ্রীত কৌরের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই (Mumbai Indians) একমাত্র দল, যারা এখনও একটি ম্যাচেও হারেনি। আজ রবিবার, অ্যালিসা হিলির ইউপি ওয়ারিয়র্সের (UP Warriorz) বিরুদ্ধে নেমেছিল মুম্বই। একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড অক্ষত থাকল। দীপ্তি শর্মারা ডব্লিউপিএলে (WPL) মুম্বইয়ের মতোই ৩টি ম্যাচ খেলে নেমেছিল। তার মধ্যে ২টিতে জয় ও ১টি হারের মুখ দেখেছে ইউপি। এ দিন দ্বিতীয় হারের স্বাদ। প্রথমে মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ব্য়াটিং ভরাডুবি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলেন দীপ্তিরা। এই রান নিয়েও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে চাপে ফেলা যেত। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে যস্তিকা ভাটিয়ার জোড়া ক্য়াচ ফেলে রাস্তা কঠিন করে ইউপি। মুম্বই ইনিংসের ৫৮ রানে পরপর দুই ওপেনারকে ফিরিয়েও লাভ হয়নি। ন্যাট সিবারকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১০৬ রানের জুটিতে ম্য়াচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুম্বই অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ১৫ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের।
টুর্নামেন্টের প্রথম হাফসেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর ব্য়াটেই। ফের অর্ধশতরান মুম্বই অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের।
আগের ওভারেই যস্তিকাকে ফেরান রাজেশ্বরী। এ বার আর এক বাঁ হাতি স্পিনার সোফি এক্লেস্টন ফেরালেন হেইলি ম্যাথুজকে। কট অ্যান্ড বোল। ক্রিজে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।
প্রথম ক্যাচ পড়েছিল খাতা খোলার আগেই। পর পর দু ওভারে জোড়া ক্যাচ পড়ে যস্তিকার। অবশেষে সপ্তম ওভারে রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের বোলিংয়ে তাঁর ক্যাচ নেন সেই সিমরন শেখই। ২৭ বলে ৪২ রানে ফেরেন যস্তিকা।
পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে ফের রিভিউ ইউপি ওয়ারিয়র্সের। শাবনিম ইসমাইলের বোলিং। অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে তাড়া করেছিলেন। সাউন্ড এলেও আলট্রা এজে কোনও স্পাইক ধরা পড়েনি। যস্তিকা সুরক্ষিত।
সোফি এক্লেস্টনের বোলিংয়ে রিভিউ বিতর্ক। হেইলি ম্যাথুজের ব্যাটে আগে বল লেগেছে না জুতোর ডগায় এই ধোঁয়াশা। প্রথম তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ফের একবার চেক করা হয়, বারবার রিপ্লে দেখে নিশ্চিত করা হয়, প্রথমে ব্য়াটে বল লাগে, তারপর জুতোর ডগায়। হেইলি ম্য়াথুজ ১০ রানে ক্রিজে।
দ্বিতীয় ওভারেই শাবনিম ইসমাইলের বোলিংয়ে ক্য়াচ মিস উইকেটকিপার অ্যালিসা হিলির। মুম্বই ওপেনার যস্তিকাকে শূন্যতেই ফেরানোর দারুণ সুযোগ ছিল। তৃতীয় ওভারে ফের ক্যাচ মিস। এবারও যস্তিকার ক্যাচ। দীপ্তি শর্মার বোলিংয়ে ক্যাচ ফসকান সিমরন শেখ।
লক্ষ্য ১৬০ রান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জন্য বিশাল লক্ষ্য বলা যায় না। তবে ইউপি ওয়ারিয়র্সের স্পিন বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। মুম্বইয়ের কাজটা সহজ হবে না।
২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান ইউপির। জয়ের জন্য মুম্বইয়ের প্রয়োজন ১৬০ রান। পরপর উইকেট না ফেললে আরও চ্যালেঞ্জিং স্কোর খাড়া করতে পারত ইউপি।
দীপ্তিকে ফেরান অ্যামেলিয়া কের। ৬ বলে ৭ রান দীপ্তির।
ব্যক্তিগত ১ রানে সোফিকে আউট করলেন হেইলি ম্যাথিউজ। পাঁচ উইকেট হারাল ইউপি।
একটু আগেও ম্যাচ ঝুঁকে ছিল ইউপির দিকে। অ্যালিসা হিলি ও তাহলিয়া ম্যাকগ্রার ব্যাটে বড় রানের দিকে এগোচ্ছিল ইউপি। দুই ব্যাটারকে পরপর আউট করে ম্যাচ ঘোরালেন বাংলার স্পিনার সাইকা ইশাক।
এক ওভারে জোড়া উইকেট সাইকা ইশাকের। অ্যালিসার পর সাজঘরে ম্যাকগ্রা।
৪৬ বলে ৫৮ রান করে আউট হিলি। ইউপি অধিনায়ককে ফেরালেন সাইকা ইশাক। ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান ইউপির।
অ্যালিসা হিলির অর্ধশতরান। ১৫ ওভারে ইউপি ১৩৩/২।
১৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান ইউপি। অ্যালিসা হিলি ৪৪, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা ৩৮ রানে ব্যাট করছেন।
অ্যামিলিয়া কের-এর বলে যস্তিকা ভাটিয়ার হাতে ক্য়াচ। ফিরলেন কিরন নবগীরে। ১৪ বলে ১৭ রান। ৬.৪ ওভারে ৫৮/২ ইউপি। ক্রিজে তাহলিয়া ম্যাকগ্রা।
ইউপি-র অর্ধশতরান। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে চার, ছয়ের বন্যা হিলি, নবগীরেদের।
৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান ইউপি ওয়ারিয়র্সের। ক্রিজে অ্যালিসা হিলি ও কিরন নবগীরে।
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দেবিকাকে লেগ বিফোর করলেন সাইকা ইশাক। ৮ রানে ১ উইকেট হারাল ইউপি।
ইউপির হয়ে ইনিংসের সূচনায় অ্যালিসা হিলি এবং দেবিকা বৈদ্য। বল হাতে ন্যাট সিবার ব্রান্ট।
মুম্বই দলেও একটি পরিবর্তন। শেষ ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন পূজা বস্ত্রকার। তাঁর পরিবর্তে একাদশে ধারা গুজ্জর।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স একাদশ: যস্তিকা ভাটিয়া, হেইলি ম্যাথুজ, ন্য়াট সিবার ব্রান্ট, হরমনপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), ধারা গুজ্জর, অ্য়ামেলিয়া কের, ইসি ওং, অমনজ্যোৎ কৌর, হুমাইরা কাজি, জিন্তিমনি কলিতা এবং সাইকা ইশাক।
গ্রেস হ্যারিস অসুস্থ। তাঁর পরিবর্তে একাদশে শবনিম ইসমাইল।
ইউপি ওয়ারিয়র্স একাদশ: দেবিকা বৈদ্য, অ্যালিসা হিলি (অধিনায়ক), শ্বেতা শেরাওয়াত, কিরণপ্রভু নবগীরে, তাহিলা ম্য়াকগ্রা, দীপ্তি শর্মা, সিমরন শেখ, সোফি এক্লেস্টন, শবনিম ইসমাইল, অঞ্জলী সর্বানী, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়।
টস জিতল ইউপি ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত।
ডব্লিউপিএলে পয়েন্ট তালিকার মগডালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তিনটি ম্যাচ জিতে পয়েন্ট ৬। MI-এর নেট রান রেট +৪.২২৮।