আইপিএলের গত মরসুমে একটা অনবদ্য সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন। তবে ব্যক্তিগত মাইলস্টোন তখনই গর্বের হয়, যখন টিম ভালো পারফর্ম করে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম সফল ব্যাটার ভেঙ্কটেশ আইয়ার। নাইট শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ভালো কিছু ইনিংস খেলেছেন। ট্রফি জেতা না অবধি তার যেন কোনও গুরুত্ব নেই। এ বার নাইটদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে। ভালো কিছুর প্রত্যাশা।
ঘরের মাঠে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মরসুমের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ বেঙ্গালুরুতে। শক্তিশালী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সহজ জয়। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে গড়া দল কেকেআরের। সবটাই যেন কাজে লেগেছে আরসিবির বিরুদ্ধে। বোলিংয়ে অভিজ্ঞ আন্দ্রে রাসেল যেমন অনবদ্য পারফর্ম করেছেন, তেমনই তরুণ হর্ষিত রানা। ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ সুনীল নারিন মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন, দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। তেমনই হাফসেঞ্চুরির নির্ভরযোগ্য ইনিংস ভেঙ্কটেশ আইয়ারের।
বেঙ্গালুরুর গ্যালারিতে ভেঙ্কির জন্য অক্সিজেন ছিল! হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন। তাও আবার বিধ্বংসী ইনিংস। পারফরম্যান্স নিয়ে যা বলছেন কেকেআরের অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আইয়ার, ‘পরের দিকে ব্যাটিং সহজ হয়ে উঠেছিল। আর সুনীল নারিন যে মঞ্চটা গড়ে দিয়েছে তাতে আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়েছিল। কোনও চাপই ছিল না। বাকিটা যেন শুধুই ফরম্যালিটি। আমার কাছে এই ম্যাচটা স্পেশাল। গ্যালারিতে আমার বাগদত্তা ছিল। ওর সামনে এমন একটা ইনিংস খেলতে পেরে বাড়তি আনন্দ হচ্ছে।’
গ্যালারিতে প্রিয়জন থাকলে, নিজের উপর ভরসা বাড়ে, আত্মবিশ্বাস থাকে। সঙ্গে বাড়তি তাগিদও। নিজের সাফল্য তাঁকে গর্বিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার প্রবল চেষ্টা থাকে। কেকেআর ব্যাটার ভেঙ্কটেশ যেন সেটাই করতে পেরেছেন। আর দল জেতায়, আনন্দটা বেশিই।