দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষা শেষে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সেলিব্রেশন পর্বও শেষ। তবে এর মধ্যে যেমন আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে, কয়েকটা মুহূর্ত বিষাদেরও। বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেছেন বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপে রান পাচ্ছিলেন না। কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং ক্যাপ্টেন ভরসা রেখেছিলেন বিরাটের উপর। ফাইনালে ভরসার মর্যাদা দিয়েছে। তবে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতেই ঘোষণা করে দেন, এই ফরম্যাটে দেশের হয়ে আর খেলবেন না বিরাট। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে একই ঘোষণা অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। পরদিন রবীন্দ্র জাডেজাও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানান। আরও একটা জিনিসও নিশ্চিত হয়ে যায়, ভারতীয় ক্রিকেটে দ্রাবিড় সভ্যতার ইতি। বিশ্বকাপ অবধিই চুক্তি ছিল তাঁর সঙ্গে।
বিশ্বজয়ের সেলিব্রেশনে মনেই হয়নি, রাহুল দ্রাবিড়ও প্রাক্তন কোচ হয়ে গিয়েছেন। এ দিন সরকারি ভাবে গৌতম গম্ভীরকে পরবর্তী কোচ ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ধন্যবাদ জানিয়েছে রাহুল দ্রাবিড়কে। রাহুল দ্রাবিড়ের জন্য বিদায়ী বার্তা দিয়েছেন রোহিত শর্মাও। টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে তিনিও প্রাক্তন। তবে এখনও অবধি ঠিক রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ অবধি রোহিতই নেতৃত্ব দেবেন ওয়ান ডে ও টেস্ট ফরম্যাটে।
রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে নানা কথাই বলেছেন রোহিত। আর এখানেই মজা করে একটি তথ্য় লিখেছেন। ইনস্টাগ্রামে বিশাল পোস্টে নানা কথাই লিখেছেন রোহিতের। সমস্ত জার্নিটাই তুলে ধরেছেন। রোহিতের কথায়, ‘ছেলেবেলা থেকেই আরও সকল ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীর মতো আমিও তোমাকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে দেখেছি। আমার সৌভাগ্য, তোমার মতো একজন কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তুমি যখন কোচ হয়ে এলে, এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছিলে, যেখানে সবাই খোলা মনে কথা বলতে পেরেছে। তোমার এই বিনয় সহজাত। সেখান থেকে কিছুটা শেখার চেষ্টা করেছি। আমার স্ত্রী তোমাকে আমার ওয়ার্ক ওয়াইফ হিসেবে পরিচয় দেয়। সত্যি বলতে, এটা আমিও বলতে পারি কারণ আমি ভাগ্যবান।’
ভারতীয় দলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ছিল আইসিসি ট্রফির। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও রাহুল দ্রাবিড় জুটি সেই লক্ষ্যেই এগিয়েছে। এই সম্পর্কটা যেন স্বামী-স্ত্রীর মতোই হয়ে গিয়েছিল। পরিবারের চেয়ে ক্রিকেটকেই বেশি সময় দিতে হত। দু-জনের লক্ষ্য একটাই, আইসিসি ট্রফি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছলেও ট্রফি আসছিল না। অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।