সিডনি: ২০০৩ ও ২০০৭ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে (Cricket World Cup) অস্ট্রেলিয়াকে (Australia) জেতানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস (Andrew Symonds) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা গিয়েছেন। ৪৬ বছরের ক্রিকেটার কুইন্সল্যান্ডের টাউন্সভিলার কাছে এক ব্রিজের মুখে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। প্রায় রাত ১১টা নাগাদ ঘটেছিল ঘটনা। কেন সাইমন্ডস সেই রাতে ওই জায়গায় গিয়েছিলেন, তা কেউ জানে না। এমনকি, তাঁর পরিবারও ধোঁয়াশায়। চমকে দেওয়ার মতো এই তথ্য তুলে ধরেছেন সাইমন্ডসের বোন লুইস। দুর্ঘটনাস্থলে ঘুরে এসেছেন তিনি। দাদা সাইমন্ডসের উদ্দেশে একটা চিঠিও রেখেছেন লুইস। সাইমন্ডসের ট্র্যাজিক মৃত্যু ঘিরে তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া। বরাবরই নিজের মতো করে জীবনযাপন করেছেন তিনি। সেই তিনিই যে এ ভাবে মারা যাবেন, তা কেউই বিশ্বাস করেনি। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটেও শোকের ছায়া তাঁকে ঘিরে।
সাইমন্ডসের বোন লুইস বলেছেন, ‘ওই রাতে কেন ওখানে গিয়েছিল সাইমন্ডস, তা আমরা জানি না। খুব অবাক করার মতো যেমন, অস্বস্তিকর ব্যাপারও বটে।’ সাইমন্ডস তীব্র গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। রাস্তা থেকে হঠাৎই গাড়ি নামিয়ে নিয়েছিলেন কেন, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। গাড়ির সামনে কোনও পশু এসে গিয়েছিলেন হয়তো। তবে তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। এর মধ্যে আবার এখনও অটোপসি করা হয়নি সাইমন্ডসের মৃতদেহের। কুইন্সল্যান্ডে অটোপসি ডাক্তার না থাকায় সমস্যা।
সাইমন্ডসের স্ত্রী লরা এখনও শোকে মুহ্যমান। দুই ছেলে কোল ও বিলিকে সামলানোর চেষ্টা করছেন। লরা বলেছেন, ‘এখনও শোক কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা খুব কঠিন। বিশেষ করে দুই ছেলে কোল আর বিলি কতটা মানসিক ধাক্কা খেয়েছে, সেটা অনুভব করার চেষ্টা করছি। সেই কারণেই ওদের পাশে থাকছি যতটা সম্ভব। এই মূহুর্তে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালকে সোনার সময় ধরা হয়। ওই সময় ওয়ান ডে ক্রিকেটে সেরা শক্তি ছিল অজিরা। সাইমন্ডস দুটো বিশ্বকাপজয়ী টিমেরই অলরাউন্ডার ছিলেন। সাদা বল স্পেশালিস্ট বলা হত তাঁকে। ব্যাটে-বলে সেরা ফর্মে ছিলেন ওই সময়। মাত্র ২৬টা টেস্ট খেললেও ১৯৮টা ওয়ান ডে খেলেছিলেন দেশের হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mohun Bagan: মোহনবাগানের ক্রিকেট দলের জার্সির ডিজাইনে লখনউ সুপার জায়ান্টসের লোগো? বিতর্ক তুঙ্গে