নয়াদিল্লি: হাতি, ঘোড়া গেল তল…। রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা, শ্রেয়স আইয়ার সমৃদ্ধ ভারতের তারকা ব্যাটিং লাইন আপের মুখ চুন। কিছুটা চেষ্টা চালিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। দিল্লির মাঠে নাথান লিয়ঁর (Lathan Lyon) বিষাক্ত স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভারতের টপ অর্ডার। প্রথম ইনিংসে ভারতকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার আশায় বিভোর অস্ট্রেলিয়ার অপেক্ষা বাড়ালেন দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) এবং রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। ভারতের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন বোলার থেকে নিজেদের অলরাউন্ডারে পরিণত করা অশ্বিন-অক্ষর। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে অষ্টম উইকেটে দু’জনের জুটি ভারতীয় সমর্থকদের স্বস্তি দিল (Border-Gavaskar Trophy)। শুধু ভারতীয় সমর্থকরাই নন, তাঁদের ব্যাটিং স্কিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অস্ট্রেলিয়া শিবিরও। পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামানো নাথান লিয়ঁ দ্বিতীয় দিনের শেষে বললেন, “ওদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটার বলবেন না।” কেন এমন বললেন লিয়ঁ? বিস্তারিত TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
নাগপুর টেস্টে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অক্ষর প্যাটেল খেলেন ৮৪ রানের ইনিংস। নাগপুরের পিচে টড মার্ফি, নাথান লিয়ঁদের মোকাবিলা করে আসা অক্ষর দিল্লিতেও অজি বোলারদের বিরুদ্ধে অনায়াসে খেললেন। একটা সময় ১৩৬ রানে ছয়টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। নাথান লিয়ঁ প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটারদের। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট হন বিরাট। সেখান থেকে ভারতের হাল ধরেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল। অষ্টম উইকেটে জুটিতে ওঠে ১১৭ বলে ১১৪ রান। এই জুটির সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার থেকে মাত্র ১ রানে পিছিয়ে থেকে ২৬২ রানে থামে ভারত। ৭১ বলে ৩৭ রান করেন অশ্বিন। ১১৫ বলে ৭৪ রান অক্ষরের।
অশ্বিন-অক্ষরের এই সেঞ্চুরি প্লাস পার্টনারশিপ সফরকারী দলের মাথাব্যথা যে বাড়িয়ে দিয়েছিল তাতে সন্দেহ নেই। দিনের শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সঙ্গে কথোপকথনের সময় নাথান লিয়ঁর মুখে প্রশংসা শোনা গেল। বললেন, “ওরা খুব ভালো ব্যাটার। যে কোনও দলের প্রথম ছয়ে ব্যাট করার ক্ষমতা রাখে ওরা। এখানে ওরা ৮ ও ৯ নম্বরে ব্যাট করছে। ব্যাট করতে পারে এমন বোলার ওরা নয়। ওরা বিশেষজ্ঞ ব্যাটার।”