কলকাতা: পেরিয়ে গিয়েছে ৯ বছর। বাবা-ছেলের ডেস্টিনেশন একটাই। দুবাই। লক্ষ্য আলাদা। ৯ বছর আগে নৌশাদ খান ছোট ছেলে মুশিরকে নিয়ে দুবাই গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর বড় ছেলে সরফরাজ খানের ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলে অভিষেক হয়। ছোট্ট মুশির গিয়েছিলেন দাদার খেলা দেখতে। ক্রিকেট সম্পর্কে বিশাল কিছু ধারনা একেবারেই ছিল না। এ বারও নৌশাদ দুবাইতে। সেই ছোট্ট ছেলে মুশিরের অভিষেক হল ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। দুবাইতে চলছে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। সরফরাজ খান অন্য বিমান ধরেছেন। তাঁর গন্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকা। সব কেমন জটিল হয়ে যাচ্ছে? সহজ করে বলা যাক। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে সিরিজের পাশাপাশি দুটি টেস্টও রয়েছে। রবিবার শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টেস্টের প্রস্তুতিতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ও জুনিয়রদের নিয়ে এ দলও পাঠানো হয়েছে। ভারত এ দলে রয়েছেন সরফরাজ খান। আর তাঁর ভাই মুশির খান ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে খেলছেন। গর্বিত বাবা নৌশাদ খান। দুই ছেলেই জাতীয় দলে। গর্ব হওয়ারই কথা। আগের বার দুবাই গিয়েছিলেন বড় ছেলের অভিষেক দেখতে, এ বার ছোট ছেলের।
আফগানদের বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে নজর কাড়েন মুশির। ৭ ওভারে ১টি মেডেন সহ মাত্র ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। রান তাড়ায় ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস মুশিরের। শুরুটা দুর্দান্ত। অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ১৮ বছরের মুশির গত মরসুমে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলেছেন। তিনটি প্রথম শ্রেনির ম্যাচে সর্বাধিক স্কোর ৪২। মুশিরের প্রথম শ্রেনির অভিষেক ম্যাচে খেলেছেন সরফরাজও। ভাই সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে সরফরাজ বলেছিলেন, ‘সবসময়ই নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিই। যাতে আমার ভুল থেকেও ও শিখতে পারে। একই ভাবে ও আমার সঙ্গে নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়। দু-জনেরই নজর থাকে পরিশ্রমে।’
ভাইকে সেরা পরামর্শ দিয়েছেন সরফরাজ। তাঁর নিজের ক্ষেত্রেও যে সেটাই মন্ত্র। ফিটনেসের কারণে জাতীয় দলের দরজা খুলছে না সরফরাজের। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করার পরও তাঁকে না নেওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। নির্বাচকদের তরফে পরিষ্কার বার্তা ছিল, পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ফিটনেসেও নজর দিতে হবে। সরফরাজ অনেকটাই ওজন কমিয়েছেন। এ দলে জায়গা পেয়েছেন। খুব তাড়াতাড়িই সিনিয়র দলের দরজা খুলতে পারে। সরফরাজ ভাইকে যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘জীবনে শর্টকাটের কোনও দাম নেই। প্রতিটা দিনই নতুন। পরিশ্রম করে যেতে হবে।’