Yuzvendra Chahal: ‘প্রতারণা করিনি,’ ডিভোর্সের মানসিক ধাক্কায় চরম সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেটারের!
Indian Cricket News: জাতীয় দলের হয়েই হোক বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, নানা সাফল্য রয়েছে। কিন্তু ধনশ্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর সেই চাহালই হয়ে উঠেছিলেন চূড়ান্ত দুর্বল মানসিকতার! এতটাই ভেঙে পড়েন যে আত্মহত্যার ভাবনাও এসেছিল মাথায়। সেই সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে সবটা জানালেন যুজবেন্দ্র চাহাল।

একটা সময় ভারতীয় ক্রিকেটের কিউট কাপল ছিলেন। তাদের দেখে অনেকেই খুশি হতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি, রিলস মন ভালো করে দিত। সুন্দরী ধনশ্রী ভার্মা এবং যুজবেন্দ্র চাহালের জুটি ভেঙে গিয়েছে। বরাবরই শক্ত মানসিকতার বলা হয়ে থাকে যুজবেন্দ্র চাহালকে। ছোট থেকেই দাবা খেলতেন। সেই থেকেই বুদ্ধি এবং মানসিক কাঠিন্য় দুর্দান্ত। ক্রিকেট মাঠে বারবার তা প্রমাণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়েই হোক বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, নানা সাফল্য রয়েছে। কিন্তু ধনশ্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর সেই চাহালই হয়ে উঠেছিলেন চূড়ান্ত দুর্বল মানসিকতার! এতটাই ভেঙে পড়েন যে আত্মহত্যার ভাবনাও এসেছিল মাথায়। সেই সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে সবটা জানালেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
কোনও সম্পর্কে চিড় ধরলে তার নানা দিক বেরিয়ে আসে। কোনও সম্পর্কই সেই অর্থে ভালো ভাবে শেষ হয় না। চাহালের ক্ষেত্রেও তাই। ‘চিটার’ বা প্রতারক তকমাও দেওয়া হয়েছিল। রাজ শামানির পডকাস্টে সেই কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। বলেন, ‘ডিভোর্সের পর আমাকে প্রতারক হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জীবনে কোনও দিন কারও সঙ্গে কোনও প্রতারণা করিনি। আমি কতটা বিশ্বাসযোগ্য, হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। ভালোবাসার মানুষদের সবটা উজাড় করে দিয়েছি।’
ডিভোর্সের বিষয়টি তাঁকে বড় ধাক্কা দিয়েছিল, সে কথাও বেরিয়ে এল। বলছেন, ‘আমার মধ্যে আত্মহত্যার ভাবনাও এসেছিল। জীবনে আর কিছুই ভালো লাগছিল না। মনে হয়েছিল, সব শেষ। ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। রোজ কান্নাকাটি করতাম। দিনে খুব বেশি হলে ঘণ্টাদুয়েক করে ঘুমিয়েছি। প্রায় দেড় মাস এমন পরিস্থিতিতে কাটিয়েছি। অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগেছি। একমাত্র আমার কাছের লোকেরাই জানত, কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি।’
এখনও যে পুরোপুরি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পেরেছেন, তা নয়। নতুন কারও সঙ্গে কি সম্পর্কে রয়েছেন? সরাসরি নয়, তবে ঘুরিয়ে যেন না-ই বললেন। চাহালের কথায়, ‘কোনও মেয়ের সঙ্গে দেখা মানেই সম্পর্ক জুড়ে দেওয়া রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার দুই বোন রয়েছে। মেয়েদের সম্মান করাটা জানি।’
