IND vs NZ: মাহির মগজাস্ত্রেই ভারতকে হারাল স্যান্টনারের নিউজিল্যান্ড
India vs New Zealand Match Report: প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ভারত টানছিলেন সূর্যকুমার ও হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু পরপর আউট হতেই চাপ বাড়ে ভারতের। ওয়াশিংটন সুন্দর মরিয়া লড়াই করলেও সঙ্গীর অভাবে দলকে জেতাতে পারলেন না।
রাঁচি: নতুন বছর খুবই ভালো কাটছিল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেছে। নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে ওয়ান ডে সিরিজে ক্লিন সুইপও করেছে। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পরিসংখ্যান দিয়ে কিছু হয় না। কোন দল কতটা শক্তিশালী, তাতেও কিছু যায় আসে না। নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভালো খেলবে, জয় তার। সিরিজ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার বলেছিলেন, আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন। সিএসকে অধিনায়ক ধোনির থেকে নেতৃত্বের পাঠও কি নিয়েছিলেন? হতে পারে। ধোনির উপস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিলেন। ভারতকে স্পিন অস্ত্রেই চাপে ফেললেন স্যান্টনার। ধোনির মগজাস্ত্রেই যেন ভারতকে হারানোর পথ খুঁজে নিলেন স্যান্টনার। ওয়াশিংটনের সুন্দর বোলিং, ব্যাটিং। তবে নিউজিল্যান্ড জয় দিয়েই সিরিজ শুরু করল। ভারতের হারের ব্যবধান মাত্র ২১ রান। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
সামনে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় ভারত। ৩.১ ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান প্রথম তিন ব্যাটার। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ঈশান কিষাণকে (৪) বোল্ড আউট করেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। দ্রুত শুভমন গিলকে ফেরান মিচেল স্যান্টনার। শূন্য রানে ফেরেন রাহুল ত্রিপাঠী। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দলের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়া। চার, ছক্কায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাঁচির মাঠে ঝড় তোলেন সূর্য। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত রান তোলা প্রয়োজন। তাতেই তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে উইকেট দিয়ে আসেন সূর্য। ১১.৪ ওভারে সোধির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ফিন অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দিলেন সূর্যকুমার যাদব। ৩৪ বলে ৪৭ রান। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেননি হার্দিকও। ১২.২ ওভারে হার্দিককে কট অ্যান্ড বোল্ড ব্রেসওয়েলের।
টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ভারত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং ডেভন কনওয়ে ৪৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই জুটি ভাঙেন ওয়াশিংটন সুন্দর। পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় বলে ফেরান অ্যালেনকে। ওভারের শেষ বলে ফেরান ক্রিজে নামা চাপম্যানকে। ব্যক্তিগত ১৭ বলে গ্লেন ফিলিপসকে ফেরান কুলদীপ যাদব। এরপর ডেভন কনওয়ে ও ড্যারেল মিচেল টেনে তোলেন কিউয়িদের। ৩৫ বলে ৫২ রান করে দলীয় ১৩৯ রানে ফেরেন কনওয়ে। অর্শদীপ সিং কনওয়েকে ফিরিয়ে ক্যাপ্টেন হার্দিককে স্বস্তি দেন ঠিকই, যদিও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। শেষ ওভারে অর্শদীপ সিংকে রীতিমতো তুলোধনা করেন ড্যারেল মিচেল। পরপর তিনটে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। নো বল-সহ শেষ ওভারে অর্শদীপ দেন ২৭ রান! তিনটি ছয়, একটি চার। যার জেরে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর গিয়ে পৌঁছয় ১৭৬ রানে।
নিউজিল্যান্ড ব্য়াটিংয়ে দুই ‘ডি’ অর্থাৎ ডেভন কনওয়ে এবং ড্যারেল মিচেল ব্য়াট হাতে বড় ইনিংস খেলেন। তেমনই বল হাতে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের বোলিং এবং পরিকল্পনা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ রবিবার লখনউতে।