প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানের অলআউট থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬২ রান করল ভারত। দ্বিতীয় নতুন বলেই সমস্যায় পড়ল ভারতীয় ব্যাটাররা। বিশেষ করে বলতে হয় লোয়ার অর্ডারের কথা। অনেক টেস্টেই লোয়ার অর্ডার অবদান রাখে। এই ম্যাচে লোয়ার অর্ডার আর একটু অবদান রাখতে পারলে ভারতীয় দল মজবুত জায়গায় থাকতে পারত। তবে ভারতের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে সেটা যে নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রেও হবে না, এই গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনের পিচ। টার্গেট মাত্র ১০৭। ভারতীয় স্পিনারদের এই পুঁজি নিয়েই মিরাকল করতে হবে।
ভারত আগেই বেকায়দায় পড়তে পারত। দিনের শুরুতেই ঋষভ পন্থকে রান আউটের সুযোগ মিস করেছিল নিউজিল্যান্ড। দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলেন পন্থ। কিন্তু অস্বস্তির হয়ে দাঁড়াল ৯৯! মাত্র ১ রানের জন্য কেরিয়ারের ৭ নম্বর টেস্ট সেঞ্চুরি হত। কিন্তু বডি লাইনে শর্ট পিচ ডেলিভারিতে প্লেড অন হন ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় ইনিংসে সবচেয়ে হতাশ করলেন লোকেশ রাহুল। তার উপর ম্যাচের অনেকটা নির্ভর করছিল। রাহুল ফেরেন মাত্র ১২ রানেই।
জাডেজাও ব্যাট হাতে সহযোগিতা করতে পারেননি। নতুন বলে কিউয়ি পেসারদের সামলানো সহজ ছিল না। রবিচন্দ্রন অশ্বিন কিছুটা রান যোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ম্যাট হেনরির একটি ডেলিভারিতে আম্পায়ার্স কলে লেগ বিফোরের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। ১৫ রান করেন অশ্বিন। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ৪৬২ রানেই।