কলকাতা: বিশ্বকাপ আসে, সঙ্গে নিয়ে আসে প্রত্যাশা। প্রতিটা বিশ্বকাপের আগেই ফেভারিট তকমা জুড়ে যায় ভারতের সঙ্গে। ইংল্যান্ডে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও এমনি পরিস্থিতি ছিল। টুর্নামেন্টে একের পর এক ভালো পারফরম্যান্স। স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন রোহিত শর্মা। বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার। পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। এক বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির নিরিখে যা রেকর্ড। নকআউটে সেই স্নায়ুর চাপ। সেমিফাইনালেই বিদায় ভারতের। এ বার টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার পর ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের প্রত্যাশা আরও বাড়ছে। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ নিয়ে কী ভাবছেন রোহিত? তারই একটা অংশ রইল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গত বারের মতো এ বারও দশ দলের বিশ্বকাপ। ফরম্যাটও একই। রাউন্ড রবিন পর্বে পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলবে প্রতিটি দল। পয়েন্ট এবং নেট রান রেটের নিরিখে চারটি দল নকআউটে। বিশ্বকাপের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে রোহিত বলছেন, ‘গ্রুপ লিগে ৯টা ম্যাচ। এরপর সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। ট্রফির ম্যাচে উঠলে সব মিলিয়ে ১১টা ম্যাচ খেলতে হবে। লম্বা সফর। এই রকম টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাওয়া যায়। গত বিশ্বকাপের কথা ভেবে দেখুন, ইংল্যান্ডও ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল।’
সাংবাদিক সম্মেলনে শুরুটা অবশ্য হল ‘রোহিত শর্মা স্টাইলেই’। বিশ্বকাপ নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই বলেন, ‘মাঠে নামব, ক্রিকেট খেলব, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব, আর কী!’ একাদশ নিয়ে অবশ্য পরিকল্পনা খোলসা করেননি। টিম কম্বিনেশন কী হতে পারে, তা নিয়ে কার্যত একই জবাব। এশিয়া কাপ শুরুর আগেও যেমন বলেছিলেন, তারই পুনরাবৃত্তি। রোহিত বলছেন, ‘বিশ্বকাপের কম্বিনেশন কেমন হবে, এখনও ভাবিনি। টিমে প্রতিযোগিতা থাকলে ভালো। কোয়ালিটি প্লেয়ার থাকলে ক্যাপ্টেন-কোচের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়ে। কে ফর্মে আছে, প্রতিপক্ষ কে, কাকে খেলালে সুবিধা বেশি, এই সব হিসেব করেই প্রথম একাদশ ঠিক করতে হয়। এতদিন খেলছি, কঠিন পরিস্থিতি আসে। কিন্তু টিমের প্রয়োজনে ওই দিনটাতে যা করার দরকার, তাই করব আমরা।’
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারত। ম্যাচটা সম্পূর্ণ না হলেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়েছিল। টপ অর্ডার চূড়ান্ত ব্য়র্থ হয়। পাকিস্তানের পেস আক্রমণের সামনে রোহিত, বিরাট, শুভমন কেউই ভরসা দিতে পারেননি। নেপালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে দুই ওপেনারই ম্যাচ ফিনিশ করেন। পাক ম্যাচে ঈশান কিষাণ এবং হার্দিকের ১৩৮ রানের পার্টনারশিপ ভরসা দিয়েছিল। রোহিতের মুখেও সেই ম্যাচ। বলছেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঈশান, হার্দিক চাপের মুখে দারুণ ব্যাট করেছে। টিমের জন্য হার্দিকের ফর্ম গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার্দিক বুঝিয়েছে, ও আগের থেকে অনেক পরিণত।’
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রয়েছেন ১৭ জন। স্ট্যান্ড বাইতে সঞ্জু স্যামসন। বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড বাছতে তিন জনকে বাদ দিতেই হত। সেই তিনজন তিলক ভার্মা, প্রসিধ কৃষ্ণা এবং সঞ্জু। রোহিত অবশ্য তাঁদের ভরসা দিয়ে বললেন, ‘বিশ্বকাপ টিম থেকে বাদ পড়লে কেমন লাগে, সেটা আমি ভালো করে জানি। কারও জন্যই টিমের দরজা বন্ধ নয়। পরবর্তী সুযোগের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে।’