আক্রমের রিভার্স সুইং, মুরলীর স্পিন এখনও ভোলেননি ওয়ান ডে মাস্টার সচিন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Feb 05, 2022 | 3:04 PM

পেশোয়ারে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে শুরু করার কথা ছিল সচিনের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা ভেস্তে যায়। গ্যালারিতে বিপুল জনতা দেখে তখন ২০ ওভার করে দুটো টিম একটা প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিল। তাতে ১৭ বলে ৫৩ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেছিলেন সচিন।

Follow Us

মুম্বই: হাজারতম ম্যাচের দরজার দাঁড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট। ইতিহাস ফিরে দেখতে গেলে সুনীল গাভাসকর, কপিল দেব থেকে মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলিরা আলোচনায় চলে আসবেন। কিন্তু যাঁকে বাদ দিয়ে এই ইতিহাস সম্পূর্ণ হবে না, তিনি হলেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) দেশের ২০০তম ওয়ান ডে (ODI) ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। ধারাবাহিকতার আশ্চর্য সরণি বেয়ে ৮০০তম ওয়ান ডে-তেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। সংখ্যায় গেলে বলতে হবে, ভারতের (India) হয়ে ১৬৬তম ওয়ান ডে ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল সচিনের। ৮০৪তম একদিনের ম্যাচ খেলে থামেন তিনি। ভারত যা ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছে, তার অর্ধেক খেলেছেন একা সচিন। তাঁর মোট ৪৬৩টা ওয়ান ম্যাচ দেশ হিসেবে এখনও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ!

পেশোয়ারে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে শুরু করার কথা ছিল সচিনের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা ভেস্তে যায়। গ্যালারিতে বিপুল জনতা দেখে তখন ২০ ওভার করে দুটো টিম একটা প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিল। তাতে ১৭ বলে ৫৩ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেছিলেন সচিন। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত দুটো দশক ধরে সচিনরাজ চলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তাঁর চোখের সামনেই ধীরে ধীরে পাল্টেছে ওয়ান ডে। লাল বল থেকে সাদা বলে পা দিয়েছে। পিঞ্চহিটারের গুরুত্ব বেড়েছে। পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে টিমগুলো। দায়িত্ব বেড়েছে ওপেনারদের। ‘রান-আ-বল’ ক্রিকেট দর্শটাই বদলে দিয়েছে একদিনের ক্রিকেটের।

সচিন বলছেন, ‘গত ১০ বছরে আমি ওয়ান ডে-তে রিভার্স সুইং হতে দেখিনি। অনেক পাল্টে গিয়েছে ক্রিকেটে। আগে ভারতে সকাল ৮-৪৫ থেকে খেলা শুরু হত। পিচ ড্যাম্প থাকত। এসজি বল বোলাররা প্ল্যান করতে পারত। ওপেনারদেরও ভাবতে হত রান পাওয়ার জন্য। ওয়াসিম আক্রমকে ৪৭ ওভারে স্লিপ নিয়ে বল করতে দেখেছি। এখনকার ক্রিকেটে যা ভাবাই যায় না। মুরলীথরনের মতো বোলারকে সামলানো ছিল আর এক চ্যালেঞ্জ। বল রিলিজ করার আগে বোঝাই যেত না, অফস্পিন না দুসরা করছে।’

সচিনের সেরা পাঁচটা ওয়ান ডে ম্যাচ কী হতে পারে? ‘২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মরুঝড়। ২০০৩ সালের সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। ভিবি সিরিজের ফাইনালে দু’বার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা।’ শুধু সচিন কেন, এই পাঁচটা ম্যাচ হয়তো ভারতের ১০০০ ম্যাচেরও সেরা দশে জায়গা পেতে পারে।

ওয়ান ডে ক্রিকেটে যে ডাবল সেঞ্চুরি করা যায়, প্রথম দেখিয়েছিলেন সচিনই। ২০১০ সালে গোয়ালিয়রের সেই ইনিংস নিয়ে সচিন বলছেন, ‘আমার ডাবল সেঞ্চুরিটা ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রথম ছিল। ভালো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভালো একটা ইনিংস ছিল।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

আরও পড়ুন: India vs West Indies: দর্শকশূন্য ইডেনেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ, বললেন সৌরভ

আরও পড়ুন: India vs West Indies: ভারতের ১০০০তম ওয়ান ডে ম্যাচকে ‘বিরাট মাইলস্টোন’, বললেন সচিন তেন্ডুলকর

মুম্বই: হাজারতম ম্যাচের দরজার দাঁড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট। ইতিহাস ফিরে দেখতে গেলে সুনীল গাভাসকর, কপিল দেব থেকে মহম্মদ আজহারউদ্দিন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলিরা আলোচনায় চলে আসবেন। কিন্তু যাঁকে বাদ দিয়ে এই ইতিহাস সম্পূর্ণ হবে না, তিনি হলেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) দেশের ২০০তম ওয়ান ডে (ODI) ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। ধারাবাহিকতার আশ্চর্য সরণি বেয়ে ৮০০তম ওয়ান ডে-তেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। সংখ্যায় গেলে বলতে হবে, ভারতের (India) হয়ে ১৬৬তম ওয়ান ডে ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল সচিনের। ৮০৪তম একদিনের ম্যাচ খেলে থামেন তিনি। ভারত যা ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছে, তার অর্ধেক খেলেছেন একা সচিন। তাঁর মোট ৪৬৩টা ওয়ান ম্যাচ দেশ হিসেবে এখনও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ!

পেশোয়ারে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে শুরু করার কথা ছিল সচিনের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা ভেস্তে যায়। গ্যালারিতে বিপুল জনতা দেখে তখন ২০ ওভার করে দুটো টিম একটা প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিল। তাতে ১৭ বলে ৫৩ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেছিলেন সচিন। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত দুটো দশক ধরে সচিনরাজ চলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তাঁর চোখের সামনেই ধীরে ধীরে পাল্টেছে ওয়ান ডে। লাল বল থেকে সাদা বলে পা দিয়েছে। পিঞ্চহিটারের গুরুত্ব বেড়েছে। পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে টিমগুলো। দায়িত্ব বেড়েছে ওপেনারদের। ‘রান-আ-বল’ ক্রিকেট দর্শটাই বদলে দিয়েছে একদিনের ক্রিকেটের।

সচিন বলছেন, ‘গত ১০ বছরে আমি ওয়ান ডে-তে রিভার্স সুইং হতে দেখিনি। অনেক পাল্টে গিয়েছে ক্রিকেটে। আগে ভারতে সকাল ৮-৪৫ থেকে খেলা শুরু হত। পিচ ড্যাম্প থাকত। এসজি বল বোলাররা প্ল্যান করতে পারত। ওপেনারদেরও ভাবতে হত রান পাওয়ার জন্য। ওয়াসিম আক্রমকে ৪৭ ওভারে স্লিপ নিয়ে বল করতে দেখেছি। এখনকার ক্রিকেটে যা ভাবাই যায় না। মুরলীথরনের মতো বোলারকে সামলানো ছিল আর এক চ্যালেঞ্জ। বল রিলিজ করার আগে বোঝাই যেত না, অফস্পিন না দুসরা করছে।’

সচিনের সেরা পাঁচটা ওয়ান ডে ম্যাচ কী হতে পারে? ‘২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মরুঝড়। ২০০৩ সালের সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। ভিবি সিরিজের ফাইনালে দু’বার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা।’ শুধু সচিন কেন, এই পাঁচটা ম্যাচ হয়তো ভারতের ১০০০ ম্যাচেরও সেরা দশে জায়গা পেতে পারে।

ওয়ান ডে ক্রিকেটে যে ডাবল সেঞ্চুরি করা যায়, প্রথম দেখিয়েছিলেন সচিনই। ২০১০ সালে গোয়ালিয়রের সেই ইনিংস নিয়ে সচিন বলছেন, ‘আমার ডাবল সেঞ্চুরিটা ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রথম ছিল। ভালো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভালো একটা ইনিংস ছিল।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

আরও পড়ুন: India vs West Indies: দর্শকশূন্য ইডেনেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ, বললেন সৌরভ

আরও পড়ুন: India vs West Indies: ভারতের ১০০০তম ওয়ান ডে ম্যাচকে ‘বিরাট মাইলস্টোন’, বললেন সচিন তেন্ডুলকর

Next Article