কলম্বো: শাহিন শাহ আফ্রিদিকে (Shaheen Shah Afridi) সামলানোর কী করা উচিত? পাকিস্তানের প্রাক্তন পেস বোলার আকিব জাভেদের পরামর্শ হল, বোলারকে নয়, বল দেখুন ভারতীয় ব্যাটাররা। এই মুহূর্তে শাহিন রোহিত শর্মার টিমের মাথা ব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ। আমিরশাহি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় থেকেই তিনি ত্রাস হয়ে উঠেছেন। ভারতের টপর অর্ডার তাঁকে হামেশাই উইকেট উপহার দিচ্ছেন। এশিয়া কাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচেও তাই ঘটেছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি সহ ৪ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেস বোলার। রবিবার সুপার ফোরের ম্যাচেও তাঁকে কী ভাবে সামলান রোহিতরা, তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে শাহিন কী ভাবছেন? Tv9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
২৩ বছরের পাক পেসার কিন্তু বলে দিচ্ছেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে যে কোনও ম্যাচই আমার কাছে স্পেশাল। এই ম্যাচ দেখতে ভালোবাসে মানুষ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার সময় থেকে আমি এই ম্যাচটার জন্য মুখিয়ে থাকতাম। ভারতের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে যে বল করেছি, সেটাই আমার সেরা স্পেল। তবে এটা সবে শুরু। এমন আরও অনেক ম্যাচ বাকি রয়েছে। সেরাটা আসতে দেরি আছে।’
ইনসুইং, আউটসুইং— দুটোতেই ভীষণ ধারালো শাহিন। সেই সঙ্গে তাঁর তীব্র গতিও ব্যাটারদের বিপদে ফেলে। শোয়েব আখতার থেকে শুরু করে সব প্রাক্তনই এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বোলার বলছেন তাঁকে। শাহিন কিন্তু নিজের উপরেই আস্থা রাখছেন। তাঁর কথায়, ‘যদি আমার মতো অল্প বয়সে পাকিস্তানের হয়ে সব ফর্ম্যাটে খেলার সুযোগ আসে, নতুন বলে বল করার সুযোগ মেলে, তা হলে আমার কাছ থেকে এই রকমই পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করবেন সমর্থকরা।’
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপ লিগের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও শাহিন-রউফ-নাসিম তিন পেসার রোহিতের টিমের বিরুদ্ধে এই প্রথম ১০ উইকেট নিয়ে রেকর্ড করেছেন। এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত মোট ২৩ উইকেট নিয়েছেন পাক পেসাররা। শাহিন যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বলছেন, ‘নতুন আর পুরনো বলে আমার ভূমিকা কী, সেটা খুব ভালো করেই জানি। হ্যারিস আমাদের থেকে জোরে বল করে। ওর গতি কাজে লাগায়। নাসিম আর আমি শুরুর দিকে উইকেট তোলার চেষ্টা করি। আমাদের তিনজনের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। এটাই আমাদের সাফল্যের আসল কারণ।’
গত বছর হাঁটুতে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন শাহিন। সেখান থেকে ফিরে এসে গত জুলাইয়ে চমৎকার পারফর্ম করেছেন। শাহিন বলে দিচ্ছেন, ‘ম্যাচ টাইম পেলে যে কেউ ধীরে ধীরে উন্নতি করবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্য়াচ বোলার হিসেবে আমাকে আরও ধারালো করেছে। এর ফলে লম্বা সময় বল করতে পেরেছি। সারা দিন ফিল্ডিং করতে পেরেছি। ওখান থেকেই হাঁটুর চোট যে আর নেই, নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম।’
ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কখনও খেলেননি শাহিন। ভারতের মাটিতে খেলারও অভিজ্ঞতা নেই। শাহিন মুখিয়ে রয়েছে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার জন্য। ‘আইপিএলে যে সব ক্রিকেটার খেলে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভারতের উইকেট পাকিস্তান কিংবা দুবাইয়ের মতো। স্পিনাররা সাহায্য পাবে। আমাদের মতো পেসারদের নির্দিষ্ট লেন্থে বল করতে হবে। টিম হিসেবে আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। তার জন্য কিন্তু আমরা তৈরি।’
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন শাহিদ আফ্রিদি তাঁর শ্বশুর। যে কোনও বড় ম্যাচের আগে সিনিয়র আফ্রিদির সঙ্গে কথা বলেন শাহিন। ‘উনি বড় ম্যাচের প্লেয়ার ছিলেন। তাই বড় ম্যাচের আগে ওঁর ক্ষুরধার মস্তিকের সাহায্য নিই সব সময়। ওঁর সঙ্গে কথা বলার পর পরিকল্পনা সাজাই। উনি আমাকে বরাবর বলেন, নিজের খেলাটা খেলো।’