কলকাতা: হাজার হলেও প্রতিবেশী তো! শত অপরাধেও তাই ক্ষমাশীল হওয়া যায়। কিন্তু ‘বিশ্বাসঘাতক’ প্রতিবেশীর যদি আবার অভিমান থাকে! পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। দিনের পর দিন ভারতের বর্ডারে হামলার নানা ছক করা পাকিস্তান এখন অভিমানী হয়ে খিল দিয়েছে গোসাঘরে। এমনিতে দেউলিয়া হওয়ার মুখে পাকিস্তান সরকার। ক্রিকেট বোর্ড নিয়মিত মাইনেই দিতে পারে না বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানদের। সেই তারাই কিনা ফিরিয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ‘সহানুভূতি’র হাত। ঘটনা আসলে কী?
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু ভারত ওই দেশে গিয়ে খেলবে না। যে কারণ হাইব্রিড মডেলে হবে টুর্নামেন্ট। দুবাইয়ে যাবতীয় ম্যাচ খেলবেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। এর ফলে পাকিস্তানের বিপুল আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। দুই দেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য খরচও বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম পিসিবি। পাকিস্তানের কথা ভেবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। ভারত খেলতে না যাওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে তৈরি ছিল ভারত। কিন্তু পিসিবি ভারতের হাত ধরল না। কেন এমন সিদ্ধান্ত? ভারতের কাছে আর্থিক সাহায্য নেওয়া মানে পাকিস্তানের মাথানত হতে পারে। এমনই যুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে।
এর অর্থ হল, বদলার রাস্তা খুঁজছে পাকিস্তান। ২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। সে সময় পাকিস্তান টিমও ভারতে খেলতে আসবে না। আইসিসিকে তা স্পষ্ট ভাষায় বলেও দিয়েছে পিসিবি। তার বদলে ভারতকেও মেনে নিতে হবে হাইব্রিড মডেল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতকে হাইব্রিড মডেলই ফলো করতে হবে। পাকিস্তানের যাবতীয় ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও খেলা হবে কলম্বোয়। ভারত খেলতে না যাওয়ায় পাকিস্তানের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে আইসিসি। ২০২৮ সালে মেয়েদের ক্রিকেটের বড় একটা টুর্নামেন্ট ওই দেশে হবে, পিসিবিকে এমন কথা দিয়েছে আইসিসি। যা শোনা যাচ্ছে, মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে। তাতে আর্থিক ভাবে কিছুটা লাভবান হবে ওই দেশের ক্রিকেট।