ইন্দোর: একেই বলে মধুর প্রতিশোধ। গত বার রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলা। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দল গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন। সেই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সুদে আসলে হিসেব চুকিয়ে নিল বাংলা। গত বারের সেমিফাইনাল হারের বদলা। প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রানের লিড থাকা সত্ত্বেও মধ্যপ্রদেশ ফলো অন করায়নি মনোজরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লিডটাকে আরও বাড়িয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। বাংলাকে যে লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার শুরুটা করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। সেই লক্ষ্যটাকে পাহাড় প্রমাণ রানের জায়গায় নিয়ে যান প্রদীপ্ত প্রামাণিক। বাংলাকে চারশো থেকে সাড়ে চারশোর মধ্যে বেঁধে ফেলতে চেয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। আবেশ খান, সারাংশ জৈনদের সে ইচ্ছাকে মাটি করে দিলেন অনুষ্টুপ আর প্রদীপ্ত। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। জঘন্য আম্পায়ারিংয়ের শিকার বাংলার নির্ভরযোগ্য মিডল অর্ডার ব্যাটার। কুমার কার্তিকেয়ার বল ব্যাটে লাগা সত্ত্বেও অনুষ্টুপকে এলবিডব্লু আউট দিলেন আম্পায়ার অনিল চৌধুরী। শাহবাজ কিছুটা লড়াই চালালেও তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। বাংলার স্কোরবোর্ডকে পাহাড় প্রমাণ জায়গায় নিয়ে যান প্রদীপ্ত প্রামাণিক।
কুমার কার্তিকেয়, সারাংশ জৈনদের এক একটা ডেলিভারি মাঠের বাইরে ফেললেন প্রদীপ্ত। বাংলার অলরাউন্ডারের ডাকাবুকো ব্যাটিংই ফাইনালের পথকে সুদৃঢ় করে তুলল। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৯ উইকেটে ২৭৯। ২২৩ রানে ৯ উইকেট পড়ে গেলেও বাংলাকে অল আউটই করতে পারল না মধ্যপ্রদেশ। শেষ উইকেট জুটিতে উঠল ৫৬ রান। ৬০ রানে ক্রিজে থাকলেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। ইনিংস সাজানো ৫টা ছয় আর ৩টে চারে। উল্টো প্রান্তে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করে গেলেন ঈশান পোড়েল। ২২ বলে অপরাজিত থাকলেন ১ রানে। একেবারে ট্যাকটিক্যাল ক্রিকেট। ৫৪৭ রানে এগিয়ে বাংলা। ফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে হয়তো ফাইনাল হতে পারে বাংলা বনাম সৌরাষ্ট্রের মধ্যে। খেলা হতে পারে ইডেন গার্ডেন্সে। ২ বছর আগের বদলা নেওয়ার সুযোগ ফিরে আসছে অনুষ্টুপদের কাছে।