জোহানেসবার্গ: করোনার (COVID-19) কারণে আইপিএল (IPL) স্থগিত। আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত বিদেশী ক্রিকেটারদের অনেকেই নির্বিঘ্নে নিজেদের দেশে ফিরে গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও মলদ্বীপ হয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন। রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) অল রাউন্ডার ক্রিস মরিস (Chris Morris) পৌঁছে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। মরিসসহ বাকি ১০ জন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারও নির্বিঘ্নেই বাড়ি পৌঁছেছেন বলেই জানা গেছে। এ বার প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের বাড়িতেই ১০ দিনের কোয়ারান্টিন কাটাতে হবে। দেশে ফিরে মরিস জানিয়েছেন, আইপিএলে করোনার খবর ছড়ানোর পর সব থেকে ভয় পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।
রাজস্থানের অল রাউন্ডার মরিস বলেছেন, “যখন আমরা বায়ো বাবলে ছিলাম, হঠাৎ ক্রিকেটারদের করোনা আক্রান্তের খবর পাই। সেই সময় চারিদিকে রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। টিম হোটেলে আমি আমাদের টিমের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন কুমার (কুমার সাঙ্গাকারা রাজস্থান রয়্যালসের হেড কোচ) এসে ইঙ্গিত দেয়, এই টুর্নামেন্ট আর এগিয়ে যাবে না।”
আর তার পর হোটেলে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। এমনটা বলছেন এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার। মরিসের কথায়, “সেই সময় আমরা সবাই খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা সবথেকে বেশি ভয় পেয়েছিল। কারণ তাদের হোটেলে আলাদা থাকার জায়গা ছিল না। কিন্তু সেই সময় ক্রিকেটারদের আলাদা হওয়ার দরকার ছিল।”
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় এন৯৫ মাস্ক বিতরণ অশ্বিনের
নাইট শিবির থেকে প্রথমে বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়রের করোনা আক্রান্তের খবর আসে। তারপর চেন্নাই শিবিরেও করোনা থাবা বসায়। সেই সময় তরুণ পেসার জেরাল্ড কোয়েটজি নাকি খুবই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তখন মরিস সতীর্থকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যান। রাজস্থানের অল রাউন্ডার বলেছেন, “অ্যান্ড্রু টাইয়ের বদলে জেরাল্ড কোয়েটজি রাজস্থানে যোগ দিয়েছিলেন। আমি জানি ও সবথেকে বেশি ভয় পেয়েছিল। মাত্র ২০ বছর বয়স ওর। আমি ওকে আশ্বাস দিচ্ছিলাম।”