ক্যাপ্টেন অনুষ্টপ মজুমদারের সেঞ্চুরি। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাহবাজদের সহযোগিতা। রঞ্জি ট্রফির চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৩০১ করেছিল বাংলা। অপেক্ষা ছিল বোলারদের পারফরম্যান্সের। সেটা তাঁরা করে দেখালেন। কর্নাটক টিমে একাধিত তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেই কর্নাটকের বিরুদ্ধেই প্রথম ইনিংসে ৮০ রানের বড় লিড নিল বাংলা। এ বার দায়িত্ব ব্যাটারদের উপর।
টস জিতে বাংলাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কর্নাটক ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বাংলা ব্যাটিংয়ে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ায় সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও অনুষ্টুপ মজুমদার জুটি। প্রথম ইনিংসে ৩০১ করার পরও চাপ ছিল। তার কারণ প্রতিপক্ষ টিমের ব্যাটিং আক্রমণ। মহম্মদ সামি ফিট হয়ে ওঠেননি। মুকেশ কুমার, আকাশ দীপের মতো দুই পেসার অস্ট্রেলিয়ায়। অনভিজ্ঞ পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে কর্নাটকের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ নয়। তবে তরুণ পেস আক্রমণই ভরসা দিল।
ঈশান পোড়েলের সঙ্গে পেস বোলিং আক্রমণে সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ও অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ঋষভ বিবেক। তিন পেসারই নজর কাড়লেন। তুলনামূলক সিনিয়র ঈশান পোড়েল ৪ উইকেট নিলেন। তিন উইকেট সুরজের ঝুলিতে। আর কেরিয়ারের প্রথম রঞ্জি ম্যাচে নামা ঋষভ বিবেকের ঝুলিতে ২ উইকেট। কর্নাটকের লোয়ার অর্ডার চাপ তৈরি করলেও তাদের মাত্র ২২১ রানেই গুটিয়ে দিল বাংলা। তৃতীয় দিন অর্থাৎ আজ বাংলা পুরো দিন এবং চতুর্থ দিন প্রথম সেশন মিলিয়ে ৩০০ প্লাস স্কোর করতে পারলে এই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্টেরও প্রত্যাশা করা যায়।