বাবার মতোই পেশা বেছে নিতে পারতেন। তবে ক্রিকেটের টান তাঁকে টেনে এনেছে ময়দানে। পরিচালক বিধূবিনোদ চোপড়ার পুত্র অগ্নি গত বারের রঞ্জি ট্রফিতে নজর কেড়েছিলেন। প্লেট গ্রুপের টিম মিজোরামের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অগ্নি। পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। নতুন মরসুমেও একই ছন্দে। এ বারও মিজোরামের হয়েই খেলছেন। তাঁর দক্ষতার নিরিখে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে অবশ্য খুব ভালো বলা যায় না। সিকিমের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯। ম্যাচটি তাঁরা হেরেওছিল। কিন্তু অরুণাচল ম্যাচ! অবিশ্বাস্য বললেও কম। প্রথম ইনিংসে ১১০, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৮ নটআউট। রঞ্জি প্লেট গ্রুপে ইতিমধ্যেই ৪ ইনিংসে ১৪২.৬৬ গড়ে ৪২৮ রান করেছেন অগ্নি। তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বার মেগা অকশন। ফলে সব টিমেই বড়সড় রদবদল হবে। অগ্নিকে নজরে রেখেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গত কয়েক বছর মুম্বইয়ের ক্ষেত্রে একটা বিষয় দেখা গিয়েছে, তারা তরুণদের উপর ‘বিনিয়োগ’ করছে। তিলক ভার্মা, অংশুল কম্বোজ, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেই মুম্বইয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন কোয়েনা মাপাখা। অগ্নি আনক্যাপড প্লেয়ার। মুম্বইয়ের রিটেনশন প্ল্যানে দুই আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে রাখা হতে পারে অংশুল কম্বোজ এবং আকাশ মাধওয়ালকে। নিলামে অগ্নির জন্য ঝাঁপাতে পারে। মুম্বই ক্রিকেটে অগ্নি অচেনা নন। জুনিয়র স্তরে খেলেছেন।
আরও একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর দিকে ঝুঁকে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তাদের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা দেখা যায় ঘরোয়া ক্রিকেটার। একঝাঁক তারকা বিদেশি নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ভরসা দিতে পারে না। ডুপ্লেসি, বিরাটদের পর এমন কাউকে প্রয়োজন যিনি ইনিংস হোল্ড করে খেলতে পারবেন। এই ক্রাইটেরিয়ায় অগ্নি চোপড়াকে রাখা যায়। লাল-বলের ক্রিকেটে যিনি ধারাবাহিক ভালো খেলছেন, তাঁর ধৈর্য এবং টেকনিকে ভরসা করাই যায়।
তৃতীয় অপশন হতে পারে পঞ্জাব কিংস। প্রীতি জিন্টার টিম। বলিউড অ্যাঙ্গেল থাকতেই পারে। কিন্তু ক্রিকেটীয় দিক থেকেও বলা যায়, পঞ্জাব ঘরোয়া ক্রিকেটারদের দিকেই বেশি ঝুঁকে। গত মরসুমে তাঁদের বড় আবিষ্কার শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মা। এই তালিকায় যোগ হতেই পারেন অগ্নি চোপড়া।
লাল বলের ক্রিকেটে অগ্নির ধারাবাহিকতা কারও অজানা নয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও কিন্তু সফল। খেলেছেন খুবই কম। মাত্র ৭টি ম্যাচে ৩৩.৪২ গড়ে করেছেন ২৩৪ রান। সর্বাধিক স্কোর ৯৪। স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৫১। হেলাফেলার একেবারেই নয়।