মাইলফলক এবং জয়। যদি দুটোই একসঙ্গে হয়? সম্ভাবনা প্রবল। ইচ্ছেও। মঞ্চ প্রয়োজন। চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিন সেই মঞ্চটাই পেতে পারেন রবীন্দ্র জাডেজা। এই ম্যাচে ইতিমধ্যেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রবীন্দ্র জাডেজার। প্রথম ইনিংসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন। দুই সেট ব্যাটার লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসানের উইকেটই বাংলাদেশ ইনিংসে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শুধু তাই নয়, ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে তাঁর ১৯৯ রানের পার্টনারশিপই ভারতকে চালকের আসনে বসিয়েছে। ম্যাচের চতুর্থ দিন সেই রবীন্দ্র জাডেজাই নায়ক হয়ে উঠতে পারেন।
টার্নিং পিচ হোক বা পাটা পিচ। যে কোনও পরিস্থিতিতেই ভয়ঙ্কর। চেন্নাইতে লাল-মাটির পিচে বাউন্স রয়েছে। কিছু ডেলিভারি নীচুও হচ্ছে। ম্যাচের এখনও দু-দিন বাকি। আবহাওয়া বাধা হয়ে না দাঁড়ালে চতুর্থ দিনই ভারতের জয় নিশ্চিত বলা যেতে পারে। রবীন্দ্র জাডেজার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক, তাঁর উইকেট সোজা ডেলিভারি। লাগাতার একই লাইনে বল করে যেতে পারেন। যার ফলে ব্যাটাররা বিরক্ত হয়ে শট খেলতে গিয়ে উইকেট হারান। এত দ্রুত ওভার শেষ করেন যে অস্বস্তিতে পড়েন ব্যাটাররা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আরসিবি বনাম সিএসকে ম্যাচে বিরাট কোহলি যে কারণে জাডেজাকে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ‘ভাই নিঃশ্বাস তো নিতে দে!’
চেন্নাইয়ের পিচে যতই পেসারদের জন্য সুবিধা থাকুক, এখানকার ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে স্পিনাররা আরও বেশি সাহায্য পান। ইতিমধ্যেই পিচে ক্ষত তৈরি হয়েছে। আর জাডেজার ক্ষেত্রে বলা যায়, যত ক্ষত, তত ভয়ঙ্কর। পিচের ক্ষততে বল ফেলে উইকেট নিতে বিশেষজ্ঞ জাডেজা। চতুর্থদিন ফাটল আরও বেশি বোঝা যাবে। প্রথম তিন দিনের মতো চড়া রোদ থাকলে আরও বেশি ফাটবে পিচ। বল টার্ন করতে শুরু করলে জাডেজা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। তার কারণ, টার্নিং পিচেও সোজা বল করতে পারেন। অনেক সময়ই ব্যাটার টার্নের জন্য খেলে বোকা বনে যান। চিপকে চতুর্থ দিনে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের প্রত্যাশা তেমনই। আর শেষ ৬ উইকেটের মধ্যে জাডেজার ঝুলিতে ৪ উইকেট হলেই ৩০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে যাবেন।