কলকাতা: রোহিত শর্মার পর রাজকোট রবীন্দ্র জাডেজার (Ravindra Jadeja) রাজকীয় শতরান। হ্যামস্ট্রিং চোট সারিয়ে ঘরের ছেলে জাডেজা ফের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট (India vs England) সিরিজে ফিরেছেন। কামব্যাক ম্যাচ রাঙিয়ে রাখলেন দুরন্ত শতরান দিয়ে। রাজকোটের সঙ্গে জাডেজার আলাদাই একটা বন্ডিং রয়েছে। প্রথমত, এটা তাঁর ঘরের মাঠ। আর দ্বিতীয়ত, রাজকোটেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন জাডেজা। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম শতরান করেছিলেন জাডেজা। তারকা অলরাউন্ডারের টেস্ট কেরিয়ারের চতুর্থ শতরানও এল রাজকোটেই।
লাঞ্চ বিরতির পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা শতরান পূর্ণ করেন। রোহিত ও জাডেজার চতুর্থ উইকেটে ২০৪ রান ওঠে। এরপর ১৩১ রান করে মার্ক উডের শিকার হন রোহিত শর্মা। ভারত অধিনায়ক ফিরলে মাঠে নামেন অভিষেক টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা সরফরাজ খান। দেখতে দেখতে তৃতীয় সেশনে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে যান জাড্ডু। নিজের পাড়ায় জাডেজা ১৯৮ বলে শতরান পূর্ণ করলেন। এটি জাডেজার কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্ট যেমন, ঠিক তেমনই এটি দেশের মাটিতে করা তাঁর তৃতীয় টেস্ট। বিদেশের মাটিতে একটিই শতরান রয়েছে জাডেজার। সেটি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, ২০২২ সালে বার্মিংহ্যামে।
Test Hundred on his home ground!
A hard fought 4th Test ton and second in Rajkot from @imjadeja 👏 👏#INDvENG @IDFCFIRSTBank pic.twitter.com/osxLb6gitm
— BCCI (@BCCI) February 15, 2024
১-১ দাঁড়িয়ে থাকা টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে জাডেজা খেলবেন কিনা, তা ছিল বড় প্রশ্ন। রাজকোট টেস্টের আগে জাডেজা বোর্ডের ফিটনেস টেস্ট পাস করার পর তাঁর অনুরাগীদের প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল। ঘরের ছেলে রবীন্দ্র জাডেজা যে রাজকোটে চলতি তৃতীয় টেস্টে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবেন, এমনটা নিশ্চিত ছিল। নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামের কাছেই প্র্যাক্টিস মাঠে অনুশীলন করছেন চেতেশ্বর পূজারা। সৌরাষ্ট্রের হয়ে পরবর্তী রঞ্জি ম্যাচের জন্য তৈরি হচ্ছেন। তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে খেললে নিঃসন্দেহে ফোকাসে থাকতেন। পূজারা নেই, যে কারণে যাবতীয় লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন ঘরের ছেলে রবীন্দ্র জাডেজা।
রোহিতের সেঞ্চুরি, সরফরাজের বিধ্বংসী হাফসেঞ্চুরি ও জাডেজার অপরাজিত ১১০ রানের সৌজন্যে প্রথম দিন ৫ উইকেটে ৩২৬ রান তুলে নিল ভারত। আর এক অভিষেককারী ব্যাটার ধ্রুব জুরেলকে অবশ্য নামানো হয়নি। সরফরাজের আউটের সময় দিনের খেলায় মাত্র কয়েক ওভার বাকি থাকায় নাইটওয়াচম্যান হিসেবে পাঠানো হয়েছিল কুলদীপ যাদবকে। দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেন কুলদীপ।