কলকাতা: পরিসংখ্যান বলছে এর আগে মোট চার বার সেমিফাইনালে উঠলেও এরপর আর এগোতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তেইশের বিশ্বকাপেও তারই ছায়া। অতীত তাড়া করে বেরাচ্ছে প্রোটিয়াদের। পুরো টুর্নামেন্টে অনবদ্য ব্যাটিং করলেও সেমিফাইনালে ফ্লপ টপ অর্ডার। ডেভিড মিলার পাঁচ বছর পর সেঞ্চুরি করলেন! তাঁর ইনিংসের সৌজন্যেই অস্ট্রেলিয়াকে ২১৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রেস বক্সে প্রোটিয়া সাংবাদিকদের আপশোস, আর একটা রান হলেও! ঠিক যেন ১৯৯৯ সেমিফাইনালের মতো। সেখানে অবশ্য জিতেছিল অস্ট্রেলিয়াই। এত ক্লোজ পরিসংখ্যান ছাপিয়ে যেতে পারলে ইতিহাস গড়বে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইডেনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৯ সালে বার্মিংহ্যামেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল! সে বার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শন পোলক ও অ্যালান ডোনাল্ডের বিধ্বংসী বোলিং। এই জুটিতেই ৯ উইকেট! বাকি একটি উইকেট জ্যাক কালিসের। মাত্র ২১৩ রানেই অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপরও ফাইনালে যাওয়া হয়নি প্রোটিয়াদের।
বার্মিংহ্যামে রান তাড়ায় খেই হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মিডল অর্ডারে জ্যাক কালিসের হাফসেঞ্চুরির অনবদ্য ইনিংস। জন্টি রোডস করেন ৪৩। ম্যাচ জয়ের পথেই ছিল প্রোটিয়ারা। শেন ওয়ার্নের অনবদ্য বোলিং তাদের চাপে ফেলে। শেষ দিকে জোড়া রান আউট। এর মধ্যে শেষ ওভারই উল্লেখযোগ্য। শেষ ওভারের তৃতীয় বল। স্কোর টাই হয়। চতুর্থ বলে নন স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা ডোনাল্ড রান নিতে দৌড়োন। তিন বল দেখছিলেন। উল্টোদিকে ক্লুজনার মানা করছেন, দেখতে পাননি। ২১৩ রানেই অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ টাই হয়। এখন হলে টাই ভাঙার জন্য সুপার ওভার রয়েছে। সুপার ওভারও টাই হলে ফের সুপার ওভার। গত বিশ্বকাপের বাউন্ডারি নিয়ম এ বছর আর নেই। ৯৯-এ টাইয়ের পরও ছিটকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেটিই ছিল প্রথম টাই ম্যাচ। সুপার সিক্স পর্বের পয়েন্ট টেবলে প্রোটিয়াদের চেয়ে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই নিরিখে ফাইনালে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য ২১৩। সেই অর্থে বড় টার্গেট নয়। তবে প্রোটিয়া শিবির মিরাকলের আশা করছে। যদি ২১২ রানেই অলআউট করা যায় অজিদের! সুপার ওভারে ভুল শুধরে নেওয়ার আর একটা সুযোগ পাওয়া যাবে।