India vs South Africa: ‘আশা করি আইসিসি চোখ-কান খোলা রাখবে’, ঐতিহাসিক জয়েও ক্ষুব্ধ রোহিত
IND vs SA, Rohit Sharma: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু-ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ শেষ হল। কেপটাউনে ইতিহাস গড়লেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র করল রোহিতের ভারত। শুধু তাই নয়, কেপটাউনে ভারত এবং এশিয়ার কোনও দলই এর আগে জয়ের স্বাদ পায়নি। প্রথম দল হিসেবে কেপটাউনে প্রোটিয়াদের হারাল রোহিতের ভারত।
কলকাতা: প্রথম দিন ২৩ উইকেট! সব মিলিয়ে দেড়দিনে ৩৩ উইকেট। কেপটাউনে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা খেলল ক্ষুদ্রতম টেস্ট। মাত্র ৬৪২ বলেই খেলা শেষ। ভারত জিতল ৭ উইকেটে। এই বিষয়টাই যদি ভারতের মাটিতে কোনও পিচে হত? কিংবা এশিয়া মহাদেশের কোনও মাঠে! ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময় ভারতের বেশ কিছু পিচ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। আইসিসি-র রেটিংয়েও প্রভাব পড়েছে। কেপটাউন টেস্টের পিচ নিয়েও আইসিসি চোখ কান খোলা রাখবে, এমনটাই মনে করছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু-ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ শেষ হল। কেপটাউনে ইতিহাস গড়লেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ ড্র করল রোহিতের ভারত। শুধু তাই নয়, কেপটাউনে ভারত এবং এশিয়ার কোনও দলই এর আগে জয়ের স্বাদ পায়নি। প্রথম দল হিসেবে কেপটাউনে প্রোটিয়াদের হারাল রোহিতের ভারত।
ম্যাচ শেষে অবশ্য পিচ নিয়ে অসন্তোষের কথা শুনিয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘এই ম্যাচে কী হল সকলেই দেখেছে। পিচ কেমন আচরণ করেছে এটাও সকলের নজরে পড়েছে। সত্যি বলতে, এরকম পিচে খেলতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। ভারত এবং ভারতের পিচ নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য না করা অবধি কোনও অসুবিধা নেই। কারণ, আমরা অন্য দেশে টেস্ট খেলতে এসেছি। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ব এটাই স্বাভাবিক। নিঃসন্দেহে এমন পিচে খেলা বিপজ্জনক। তবে ভারতে কেউ খেলতে গেলে সেখানকার পিচও চ্যালেঞ্জিং হবে এমনটাই প্রত্যাশিত।’
রোহিত শর্মা কেপটাউন পিচ নিয়ে আরও যোগ করলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটই আসল পরীক্ষা। সেটা যেখানেই খেলা হোক। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সকলে যেন নিজের মন্তব্যে অটল থাকে।’ পিচের রেটিং নিয়ে আইসিসির দ্বিচারিতা প্রসঙ্গে ম্যাচ রেফারিদের উদ্দেশে রোহিতের সাফ উত্তর, ‘যেখানেই খেলা হোক, নিরপেক্ষ থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচকে কী ভাবে বিলো অ্যাভরেজ রেটিং দেওয়া হল। ফাইনালের মঞ্চে একজন সেঞ্চুরি করল। সেটা কী করে খারাপ পিচ হয়? সুতরাং, ম্যাচ রেফারি নিজে যা দেখছেন সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দেওয়া উচিত। কোন দেশে খেলা হচ্ছে সেটা দেখে নয়। আশা করি, এখানকার ক্ষেত্রেও আইসিসি চোখ কান খোলা রাখবে।’