দীপঙ্কর ঘোষাল : ম্যাচের পরতে পরতে ওঠা-নামা। শেষ অবধি অপেক্ষা করতে হল জয়ী বাছতে। এ বারের আইপিএলে একের পর এক থ্রিলার। দক্ষিণী ডার্বিতেও আরও একটা থ্রিলার দেখা গেল। শেষ অবধি বাজিমাত মহেন্দ্র সিং ধোনির। গত ছয় সাক্ষাতে ৪-২ এগিয়ে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এই ম্য়াচে ৫-২ করল সিএসকে। চিন্নাস্বামীর ছোট মাঠে ৪৪৪ রানের ম্য়াচ দেখা গেল। মাঠ ছোট, ব্য়াটিং পিচে হাইস্কোরিং ম্য়াচেরই প্রত্যাশা ছিল। টস জিতে ঘরের মাঠে অ্যাডভান্টেজ ছিল রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। কিন্তু ডেভন কনওয়ে এবং শিবম দুবের ইনিংস চেন্নাইকে বড় রানের ভিত গড়ে দেন। মনে হচ্ছিল, এ বারের আইপিএলে তৃতীয় সেঞ্চুরি দেখা যেতে পারে। ডেভন কনওয়ে সেই পথেই এগোচ্ছিলেন। অবশেষে ৮৩ রানে ফেরেন কনওয়ে। রাহানে, শিবম দুবের বিধ্বংসী ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২২৬ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস। তারপরও জয়ের খুব কাছে ছিল আরসিবি। ম্য়াচ ফিনিশ করতে পারেনি তাদের লোয়ার অর্ডার। শেষ ওভারে অনবদ্য বোলিং শ্রীলঙ্কার স্লিঙ্গার মাতিসা পাথিরানার। তাঁকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক ধোনিও। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
শেষ ওভারে আরসিবির প্রয়োজন ১৯ রান। চিন্নাস্বামীর পিচ কিংবা মাঠের সাইজের কথা ভাবলে এই রান আটকানো খুবই কঠিন। এমন মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার পেসারকে এগিয়ে দিলেন ধোনি। আরসিবি বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে চাপে। সূয়াশ প্রভুদেশাই এবং ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার ওপর প্রত্যাশা রেখেছিলেন আরসিবি সমর্থকরা। তবে পাথিরানা অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরের ডেলিভারি এবং ইয়র্কারে বিব্রত করেন। ম্যাচ শেষে ধোনি বলেন, ‘স্লগ ওভারে তরুণ বোলারদের সামলানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের টিমে ব্র্যাভো (বোলিং কোচ ডোয়েন ব্র্যাভো) রয়েছে। এই মুহূর্তগুলির জন্য ও বিশেষজ্ঞ। অনুশীলনে সেভাবেই বোলারদের তৈরি করেছে।’
পাথিরানায় আস্থা রাখার পাশাপাশি শিবম দুবেকে ব্যাটিং অর্ডারে আগে পাঠানোর ক্ষেত্রে ধোনি বলেন, ‘আমাদের যখন শিবির শুরু হয় ওর চোট ছিল। ওকে ভরসা দিতে হত। শিবম অনেকটাই লম্বা, স্পিনারদের বিরুদ্ধে বড় শট খেলতে পারে। ওর নিজের মধ্যেও বিশ্বাস জন্মানো খুব প্রয়োজন ছিল। মিডল ওভারে দারুণ ব্য়াট করেছে। সার্বিক ভাবে এটা টিম গেম। টিম হিসেবেই খেলতে হবে।’