ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা অকশন হয়ে গিয়েছে। আইপিএলের নতুন মরসুম শুরু হতে চলেছে ১৪ মার্চ। প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজিই নিজেদের মতো দল গুছিয়ে নিয়েছেন। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিকল্পনা যেমন অবাকও করেছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রেই যেমন। এ বার তারা মাত্র তিনজনকে রিটেন করেছিল। বিরাট কোহলির সঙ্গে রজত পাতিদার এবং যশ দয়ালকে রেখেছে আরসিবি। ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ফাফ ডুপ্লেসিকে। এমনকি মেগা অকশনেও তাঁর জন্য ঝাঁপায়নি আরসিবি। বরং ফিল সল্টকে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এর কারণ কী?
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু একবারও আইপিএল জিততে পারেনি। প্রতি বছরই তারকা সমৃদ্ধ দল গঠন করলেও ট্রফি আসেনি। হাতে গোনা কয়েকজন প্লেয়ারই ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন। গত মরসুমের কথাই ধরা যাক। ওপেনিংয়ে ঝড় তুলেছিল বিরাট কোহলি-ফাফ ডুপ্লেসি জুটি। মিডল অর্ডারে কিছুটা ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন রজত পাতিদার ও দীনেশ কার্তিক। রজতকে রিটেন করা হয়েছে। দীনেশ কার্তিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও আইপিএলকে বিদায় জানিয়েছেন। তিনি এখন আরসিবির কোচিং টিমে রয়েছেন। দুর্দান্ত পারফর্ম করা ডুপ্লেসি কেন নেই?
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। যেখানে তাদের ক্রিকেট অপারেশন্সের ডিরেক্টর মো বোবাত একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, ‘আপনারা (সমর্থক) চেয়েছিলেন ডুপ্লেসিই ব্যাটিং ওপেন করুক।’ আরসিবি থিঙ্কট্যাঙ্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কার্তিক বলেন, ‘আমরাও একজন বিদেশি ওপেনার চেয়েছিলাম। কারণ, একবার জ্বলে উঠলে বড় স্কোর গড়তে পারে। তারা ৬০, ৫০, ৪০ বলেও সেঞ্চুরি করার ক্ষমতা রাখে। জস বাটলার, ফিল সল্টের মতো প্লেয়ার সেটা বারবার করে দেখিয়েছে।’
কার্তিকের কথার রেশ ধরেই মো বোবাত বলেন, ‘ফিল সল্ট ধারাবাহিক। সব মিলিয়ে দেখলে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ফিল সল্ট।’ ডুপ্লেসির ক্ষেত্রে বয়সের বিষয়টিও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এমন ইঙ্গিতও দিয়েছে আরসিবি থিঙ্কট্যাঙ্ক। মেগা অকশনে ডুপ্লেসিকে বেস প্রাইস ২ কোটিতে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।