নয়াদিল্লি: আইপিএল (IPL) থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা এক ব্যাটসম্যান চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। বর্তমানে তিনি শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য রয়েছেন কলম্বোয়। ভারতীয় দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী সিএসকের এই ওপেনার। তিনি আশাবাদী শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজে ভারতের প্রথম একাদশে তিনি জায়গা করে নিতে পারবেন। অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের (Shikhar Dhawan) সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করা থেকে শুরু করে, কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) থেকে টিপস পাওয়া তাঁকে সমৃদ্ধ করছে। এমনটাই বলছেন ভারতের তরুণ তুর্কি ঋতুরাজ।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে ৩টি একদিনের ম্যাচ ও ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। ক্যাপ্টেন ধাওয়ানের ব্যপারে ঋতুরাজ বলেন, “শিখর ভাই (শিখর ধাওয়ান) এক রত্ন। মানুষ হিসেবেও অনবদ্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। তিনি কিংবদন্তি। তাঁর সঙ্গে আমি ড্রেসিংরুম ভাগ করে নিতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। শিখর ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা বাকি রয়েছে। আমি ভীষণ আগ্রহী তাঁর থেকে আরও টিপস নেওয়ার জন্য।”
কোচ দ্রাবিড়কে নিয়ে ঋতুরাজ বলেন, “রাহুল স্যারের সব থেকে ভালো বিষয়টা হল তিনি তরুণদের স্বাধীনতা দেন। তিনি সবার ভূল-ত্রুটিগুলো সংশোধন করে দেন। তিনি কোনও ক্রিকেটারকে তাঁর খেলার ধরণ পরিবর্তন করতে বলেন না। ক্রিকেট সম্পর্কে তাঁর অগাধ জ্ঞান রয়েছে। কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের অধীনে খেলেছেন যিনি আমাদের কোচ এবং তাঁর কাছ থেকে শেখা আমার কাছে বিরাট বড় ব্যপার। আমি তার কাছ থেকে আরও বেশি করে ব্যাটিংয়ের পরামর্শ নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।”
সিএসকের হয়ে আইপিএলে তিনি ওপেনিং করতেন। এখানে শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ, দেবদত্ত পাড়িক্কালও রয়েছেন ওপেনার হিসেবে। তাই ঋতুরাজের ওপেনিংয়ের সুযোগ মিলবে কিনা তা জানতে দেরি রয়েছে। তবে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুযোগ পেলে কত নম্বরে খেলবেন তিনি সে ব্যাপারে ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলেন, “শিখর ভাই আমাকে যদি ওপেন করতে বলে আমি তাই করব। যদি আমাকে মিডল অর্ডারে খেলতে বলে আমি সেটা করতেও রাজি। আসলে যে কোনও জায়গায় খেলতে তৈরি আমি। আমাদের চাই শ্রীলঙ্কা সিরিজটা জিতে দেশে ফিরতে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা সিরিজ জিতে ফিরতে পারব।”
ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার সময়কার অনুভূতি জানাতে গিয়ে ঋতুরাজ বলেন, “এই অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ। আমি এই সুযোগ পেয়ে নিজেকে নিয়ে গর্ব বোধ করছি। ভারতের হয়ে খেলার অনুভূতিটাই এক্কেবারে আলাদা হবে। আমার মনে আছে টিম ইন্ডিয়ায় ডাক পাওয়ার খবর যখন আমার কাছে এসেছিল, তখন আমি ঘুমোচ্ছিলাম এবং মাত্র ১০ মিনিট পর থেকেই আমার ফোন বাজা বন্ধই হচ্ছিল না। আমার ফোনে বেশ কয়েকটি মিস কল ছিল। আমার বাবা-মাও প্রচুর ফোন পেয়েছিলেন। তারা আমার ঘরে এসে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। আমার কাছে সেই মুহূর্তটা ভীষণ আবেগময়। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে।”
আরও পড়ুন: India vs England: টিম ইন্ডিয়ার অন্দরে অভিমন্যু ঈশ্বরণের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন