Cricket: কপিলদেবের থেকেও বড়, ৬৭ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঠাকুমার!

ক্রিকেটের ক্ষেত্রে অবসরের সময়সীমা কী? ক্রিকেট কেন, খেলার ক্ষেত্রে অবসরের নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা নেই। যিনি যতদিন পারেন, সেরা ফর্মে থাকেন, ততদিন খেলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনিই যেমন ৪৩ বছরেও খেলে চলেছেন ক্রিকেট। দীনেশ কার্তিক ৩৯ বছরেও সেরা ফর্মে রয়েছেন। সাধারণত দেখা যায়, ৩৫ বছরের ধারে-কাছে অবসর নিয়ে নেন ক্রিকেটাররা। অন্যান্য খেলাতেও তাই দেখা যায়। কিন্তু নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারে কেউ কেউ।

Cricket: কপিলদেবের থেকেও বড়, ৬৭ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঠাকুমার!
Cricket: কপিলদেবের থেকেও বড়, ৬৭ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঠাকুমার!Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Apr 22, 2024 | 1:46 PM

কলকাতা: চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার বয়সসীমা কী? ভারতে সরকারি চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর। নানান চাকরিতে নিয়োগের বয়সসামী আবার নানা রকম। স্কুল শিক্ষকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একরকম বয়স থাকে। সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে আর এক বয়সসীমা। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে অবসরের সময়সীমা কী? ক্রিকেট কেন, খেলার ক্ষেত্রে অবসরের নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা নেই। যিনি যতদিন পারেন, সেরা ফর্মে থাকেন, ততদিন খেলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনিই যেমন ৪৩ বছরেও খেলে চলেছেন ক্রিকেট। দীনেশ কার্তিক ৩৯ বছরেও সেরা ফর্মে রয়েছেন। সাধারণত দেখা যায়, ৩৫ বছরের ধারে-কাছে অবসর নিয়ে নেন ক্রিকেটাররা। অন্যান্য খেলাতেও তাই দেখা যায়। কিন্তু নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পারে কেউ কেউ। এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁদের আবির্ভাবই হয় অনেক পরে। যা আমাদের ধারনার বাইরে।

সেলি বার্টনের নাম শুনেছেন? শোনার কথা নয়। কিন্তু এ বার থেকে নিয়মিত শুনতে হবে এই নাম। যাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই হয়েছে প্রায় ৬৭ বছর বয়সে। হিসেব ধরে বললে, ৬৬ বছর ৩৩৪ দিন। জিব্রাল্টরের হয়ে ক্রিকেট খেলেন সেলি। তাঁর জন্ম ১৯৫৭ সালের ২৩ মার্চ। অর্থাৎ, যাঁদের সঙ্গে খেলেন সেলি, তাঁরা মেয়ে নন, নাতিনির বয়সী। তা এই ঠাকুমা কিন্তু ৬৭ বছরেও নিরাশ করছেন না। তিনি কপিল দেব, ইমরান খানদের থেকেও বড়। তাতে কী, জিব্রাল্টার উইকেটকিপার এস্টোনিয়ার বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য রান আউট করে চমকে দিয়েছেন ক্রিকেট দুনিয়াকে। অনেকেই বলছেন, ৬৭ বছরেও তিনি ২৭ বছরের ক্রিকেটারের মতো ফিট।

শুধু ক্রিকেট দিয়ে মাপা যাবে না সেলি বার্টনকে। ক্রিকেটে তিনি যেমন কিপার, ফুটবলেও তিনি একইরকম সাবলীল। আশ্চর্যজনক ভাবে ফুটবলের মতো গতিশীল খেলায় গোলকিপার হিসেবেই মাঠে নামেন তিনি। জিব্রাল্টার মেয়েদের ক্লাব জিব্রাল্টার ওয়েভ এফসিতে নিয়মিত খেলেন। টুইটার সার্চ করলে তাঁর গুচ্ছ ছবি বেরিয়ে পড়বে। সেলি নিশ্চিতভাবে মেয়েদের কাছে বিরাট অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছেন। সচিন ক’দিন আগেই মেয়েদের খেলার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ঘটনা হল তার দিন দুয়েক পরই, ২১ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন ৬৭ বছরের ঠাকুমা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত দিন সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেক হয়েছে তুরস্কের উসমান গোকরের। ৫৯ বছর ১৮১ দিনে রোমানিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। মেয়েদের দিক থেকে ভাবলে সেলির ৬৭ বছরে খেলা এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার। ক্রিকেটে কিপিং অত্যন্ত কঠিন একটা ব্যাপার। সেই কাজ অবলীলায় করে চলেছেন ৬৭ বছরের ঠাকুমা। ক্রিকেট সত্যিই কত কী শেখায়। আসলে খেলাই একমাত্র প্রেরণা, যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। ৬৭ বছর বয়সেও।