নয়াদিল্লি : আর দুটো দিন। ২৭ অগস্ট শুরু এশিয়া কাপ ক্রিকেট (Cricket)। হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। সে দেশে রাজনৈতিক এবং আর্থিক সংকট। যার জেরে শ্রীলঙ্কা থেকে এশিয়া কাপ সরাতে বাধ্য় হয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। ভেন্যু বদলেছে। আরব আমিরশাহিতে হবে প্রতিযোগিতা। আয়োজনের দায়িত্বে শ্রীলঙ্কাই। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এশিয়া কাপও হচ্ছে টি ২০ ফরম্যাটেই। এশিয়া কাপের মূল পর্বে ১৩টি ম্যাচ। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ হবে শারজা (Sharjah) ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কারও কাছে স্বপ্নের শারজা, অনেকের কাছে দুঃস্বপ্নের। বলিউড তারকা থেকে, গ্যাংস্টার। গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখেছেন। তখনও টি ২০ ফরম্যাট আসেনি। শারজায় ঝড় কিন্তু উঠেছে। টাইম মেশিনে সেখানে একবার ফিরলে কেমন হয়?
পাকিস্তানের ‘গ্রেট’ ব্যাটিং বিপর্যয়
১৯৮৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত। এরপর শারজায় রথমান্স কাপ। ফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়াকেই হারায় ভারত। টুর্নামেন্টে শিরোনামে ছিল অবশ্য ভারত-পাকিস্তান উদ্বোধনী ম্যাচ। ইমরান খানের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের। মাত্র ১২৫ রানে অলআউট ভারত। শারজা সেই মুহূর্তে ভারতীয় শিবিরের জন্য দু-স্বপ্নের। পরিস্থিতি বদলে যেতে বেশি সময় লাগলো না। পাকিস্তানকে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট করে ভারত। ৩৮ রানের জয়। কপিল দেব ৩ উইকেট নেন। লক্ষ্ণণ শিবরামাকৃষ্ণন এবং রবি শাস্ত্রী দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মদন লাল এবং রজার বিনি। পাকিস্তান ইনিংসে পাঁচ ব্যাটসম্যান রানের খাতাই খুলতে পারেনি। গ্যালারি দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিল ভারতীয় দলকে।
মিয়াঁদাদের মুহূর্ত
চেতন শর্মার লো ফুল টস। মিডউইকেট বাউন্ডারিতে জাভেদ মিয়াঁদাদের ছয়। ভারত-পাকিস্তান দু দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের স্মৃতিতেই তাজা সেই মুহূর্ত। আপশোসের জায়গাও। চেতন শর্মা যদি ফুলটস না দিতেন…মিয়াঁদাদ বলটা ঠিকভাবে কানেক্ট করতে না পারলে…। এখন যদি-কিন্তু অনেক কিছুই মাথায় আসতে পারে। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এই মুহূর্তটা কারও ভোলার নয়। ১১৪ বলে ১১৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন মিয়াঁদাদ।
শারজায় মরুঝড়
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিয়ে আলোচনা হবে, অথচ এই ম্যাচের প্রসঙ্গ আসবে না। এমনটা কল্পনাতীত। বিশ্ব ক্রিকেট মরু ঝড় দেখেছিল মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের ব্যাটে। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন সচিন। কোটি কোটি ক্রিকেট প্রেমীর কাছে যা পরিচিত মরু ঝড় নামেই। ভারত-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ। এই একটা ইনিংসের পরই বিশ্ব ক্রিকেট পেয়েছিল গ্রেট সচিন তেন্ডুলকরকে। বিশেষ করে সেরা লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের বিরুদ্ধে সচিনের ব্যাটিং।